মীরসরাইয়ে মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার আট দিনের মাথায় চিকিৎসাধীন আয়াত হোসেন নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২ জন হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত আয়াত হাটহাজারীর চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের খন্দকিয়াপাড়ার আব্দুর শুক্কুরের ছেলে।
মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের আইসিইউর চিকিৎসক সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রণয় কুমার দত্ত।
গত শুক্রবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে উপজেলার বড়তাকিয়া রেলস্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হন।
প্রণয় কুমার দত্ত বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর আহত অবস্থায় ছয়জনকে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে শুরুতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাসমির পাভেল নামে একজনকে আইসিইউতে নিয়ে আসা হয়।
‘এর এক দিন পর নিয়ে আসা হয় আয়াতকে। আজ বেলা দেড়টার দিকে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।’
গত ২৯ জুলাই আরঅ্যান্ডজে কোচিং সেন্টার থেকে খইয়াছড়া ঝরনায় ঘুরতে গিয়ে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় পড়েন কোচিং সেন্টারের ছাত্র-শিক্ষকরা।
খইয়াছড়া এলাকায় রেলক্রসিংয়ে তাদের বহনকারী মাইক্রোবাস লাইনে উঠে এলে এটিকে ধাক্কা দিয়ে আধা কিলোমিটার নিয়ে যায় চট্টগ্রাম শহরগামী মহানগর প্রভাতী ট্রেন।
এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন চার শিক্ষক, ছয় শিক্ষার্থী ও মাইক্রোবাস চালক। দুর্ঘটনায় একজন অক্ষত ও ছযআহত হন। তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জেএন/কেকে