টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া তিন আসামী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শনিবার বিকেলে ওই তিন আসামিকে টাঙ্গাইল আদালতে তোলা হলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হন। পরে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামসুল আলমের আদালতে রাজা মিয়া ও আব্দুল আউয়াল এবং সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুমী খাতুনের আদালতে নুরন্নবী জবানবন্দি দেন।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার ও কোর্ট ইন্সপেক্টর তানভীর আহমেদ রাত ৮টার দিকে জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তিন আসামিই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে তার কোনো কাগজ এখনও আমাদের হাতে আসেনি।
বৃহস্পতি ও শুক্রবার ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাজা মিয়াকে আদালতে তুলে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক পাঁচ দিন মঞ্জুর করেন। তবে রিমান্ড শেষ হওয়ার আগেই তিনি আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে রাজি হন।
অন্য দুই আসামি আব্দুল আউয়াল ও নুরুন্নবীর রিমান্ড আবেদনের আগেই দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে রাজি হন।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ধর্ষণের শিকার ওই নারী আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন। ওইদিন তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। ওই নারীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় বলে চিকিৎসকরা জানান।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কুষ্টিয়া থেকে ঈগল এক্সপ্রেসের একটি বাসে ডাকাতি ও এক নারী যাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের পাশে বালুর ঢিবির কাছে বাসের গতি থামিয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
এ অভিযোগে পরে বাসের যাত্রী কুষ্টিয়ার হেকমত আলী বাদী হয়ে মধুপুর থানায় মামলা করেন।
জেএন/কেকে