বাংলাদেশ-চীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে। বৈঠক শেষে দুদেশের মধ্যে চারটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই হয়েছে। এ বৈঠকের স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ চীনে আগের চেয়ে এক শতাংশ বেশি শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে। বাংলাদেশে সফররত চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আজ সকাল সাড়ে ৭টায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এবং বাংলাদেশে সফররত চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর মধ্যে বৈঠক শুরু হয়। ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বিষয়ের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক ইস্যু গুরুত্ব পেয়েছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকেরা। তবে সূত্র বলছে, আন্তর্জাতিক ইস্যুতে বাংলাদেশের সমর্থন চেয়েছে বেইজিং। আর, ঢাকা জোর দিয়েছে দ্রুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বিষয়ে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বৈঠক শেষে জানিয়েছেন, এখন থেকে ৯৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯৮ শতাংশ পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে বাংলাদেশ।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
বিমানবন্দরের চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানান কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। এ সময় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র বলছে, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরকালে দুদেশের মধ্যে আটটি চুক্তি ও সমঝোতা সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এসব চুক্তি ও সমঝোতার মধ্যে রয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক সহযোগিতা, দুর্যোগ প্রতিরোধ বিষয়ক সহযোগিতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম সহযোগিতা, দুই দেশের মধ্যে টেলিভিশন প্রোগ্রাম বিনিময়বিষয়ক সহযোগিতা ইত্যাদি।
ঢাকা সফরকালে আজ রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক হবে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষেই চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।
জেএন/কেকে