করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আগামী ১১ আগস্ট থেকে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের তথা ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের পরীক্ষামূলক টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, পরীক্ষামূলক টিকা কার্যক্রম শেষে এরপর ২৬ আগস্ট পুরোদমে এসব শিশুদের টিকা কার্যক্রম শুরু হবে।
রোববার (৭ আগস্ট) দুপুর ১২টায় নিপসম অডিটোরিয়ামে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আজ ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ফাইজারের বিশেষভাবে তৈরি ১৫ লাখ টিকা এসেছে। সবমিলিয়ে শিশুদের টিকাদানে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
জাহিদ মালেক বলেন, আমরা টিকা কার্যক্রমে সফল হয়েছি। এশিয়ায় প্রথম স্থান অধিকার করেছি। যেকারণে সম্প্রতি জাতিসংঘের এক অনুষ্ঠানে আমরা দাওয়াত পেয়েছি। সেখানে আমাদেরকে বিশ্ববাসীকে জানাতে হবে কিভাবে আমরা টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করে সফল হয়েছে।
তিনি বলেন, ওই অনুষ্ঠানে পরবর্তীতে যদি দেশে আবারও করোনার নতুন ঢেউ আসে, তখন করণীয় সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে জানাতে হবে। আমরা কীভাবে কোভিড মোকাবেলা করেছি, সেটা বিশ্ববাসীকে বলতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, করোনার পাশাপাশি আরেক নতুন আতঙ্ক মাঙ্কিপক্স নামক ভাইরাস। ইতিমধ্যে ভাইরাসটি অনেক দেশে ছড়িয়ে গেছে। বানর থেকে এসেছে। আমেরিকা-ইউরোপে পাওয়া গেছে। সেসব দেশগুলো থেকে প্রচুর লোক আমাদের দেশে আসছে। ভয় পাওয়ার কিছু নেই, কারণ এটা মহামারি আকারে ছড়িয়ে যায়নি।
মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মাতৃদুগ্ধ পানে বিশ্বে আমরা ভালো অবস্থানে রয়েছি। প্রায় ৬০-৭০ শতাংশ শিশু মাতৃদুগ্ধের আওতায় আছে। তবে, দেশে এখনো ঘরে ডেলিভারি হয় ৪০ শতাংশ, সেটি আমাদেরকে কমিয়ে আনতে হবে।
করোনার সময় মাতৃদুগ্ধে কিছুটা ঘাটতি হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, করোনার সময় অবস্থা আরও খারাপ ছিল। কারণ, করোনার ভয়ে তারা সন্তানদের দুধ খাওয়ানো থেকে দূরে থেকেছে। তখন আমরা মায়েদেরকে বুঝিয়েছি মাস্ক পরে হোক বা অন্যান্য সতর্কতার সাথে হোক যেন দুধ খাওয়ানো হয়। করোনার প্রভার শিশুদের ওপর পড়েছে। কারণ অসংখ্য লোক চাকরি হারিয়েছে, তারা তাতের শিশুদের ঠিকমতো পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে পারেনি।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনোয়ার হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলানসহ প্রমুখ।
জেএন/কেকে