বাংলাদেশের বিপক্ষে নতুন করে ইতিহাস রচনা করলেন দুই জিম্বাবুয়াইন ক্রিকেটার সিকান্দার রাজা ও রেজিস চাকাভা। হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে এই দুই ব্যাটারের অনবদ্য জুটির ওপর ভর করে পাঁচ উইকেটের ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। এমন অবিস্মরণীয় জয়ে টি-টোয়েন্টির পর ওয়ানডে সিরিজেও নিজেদের দাপট বজায় রাখল জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের বিপক্ষে গেল নয় বছরে টানা পাঁচটি ওডিআই সিরিজ হারের পর এটাই জিম্বাবুয়ের প্রথম সিরিজ জয়। বিপরীতে হতাশাকে সঙ্গী করলেন তামিম ইকবালরা।
জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং ইনিংসের ২৫.১ ওভারে ৪২ রানে থাকা রাজার সহজ একটি রানআউটের সুযোগ মিস করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। মিরাজের সেই ভুল শেষ পর্যন্ত ম্যাচ হারের বড় কারণ হল কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। এছাড়া রাজা ও চাকাভাকে চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য যথেষ্ট ভালো বোলিং কি করতে পেরেছে বোলাররা?
কিন্তু ইনিংসের শুরুতে অবশ্য ম্যাচের পাল্লা বাংলাদেশের দিকেই ভারী ছিল। শুরুতেই গতি আর সুইংয়ে জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের চেপে ধরেন ১৬ মাস পর জাতীয় দলে ফেরা হাসান মাহমুদ। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই তাকুদজোয়ানশে কাইতানোকে উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান। নিজের পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইনোসেন্ট কইয়াকেও মুশফিকের ক্যাচ বানিয়ে আউট করেন হাসান।
এরপর মিরাজ ও তাইজুল আরও দুই উইকেট তুলে নিয়ে জিম্বাবুয়েকে চাপে ফেলে দেন। তবে ম্যাচ শেষে বাংলাদেশি বোলারদের সাফল্যকে ম্লান করে দিয়েছেন রাজা ও চাকাভা। পঞ্চম উইকেট জুটিতে এই দুই ব্যাটার মিলে করেন ২০১ রান। ৭৫ বল থেকে ১০টি চার ও দুইটি ছক্কায় ১০২ রান করে চাকাভা ফেরেন মিরাজের বলে। আর ব্যাট থেকে ১২৭ বলে ১১৭ রান জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড –
বাংলাদেশ : ২৯০/৯ (৫০ ওভার)
মাহমুদউল্লাহ ৮০*, তামিম ৫০, আফিফ ৪১ বোলিং : রাজা ৩/৫৬, মাধেভেরে ২/৪০
জিম্বাবুয়ে : ২৯১/৫ (৪৭.৩ওভার)
রাজা ১১৭*, চাকাভা ১০২
বোলিং : হাসান ২/৪৭, মিরাজ ২/৫০
ফল : জিম্বাবুয়ে ৫ উইকেটে জয়ী
সিরিজ : তিন ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে জিম্বাবুয়ে।
জেএন/কেকে