রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, জ্বালানির নিরবচ্ছিন্ন যোগান নিশ্চিত করতে গ্যাস ও তেল অনুসন্ধান কার্যক্রম বাড়ানোর পাশাপাশি বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল ও গ্যাসের সর্বোত্তম ও সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আগামীকাল ৯ আগস্ট ‘জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস ২০২২’ উপলক্ষ্যে আজ এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান।
জ্বালানি নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে ‘জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস ২০২২’ পালিত হচ্ছে জেনে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সূচকের উর্ধ্বগতি নিশ্চিত করতে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানির যোগান একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত। জ্বালানির এ গুরুত্ব বিবেচনায় এ বছর জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘বহুমুখী জ্বালানি, সমৃদ্ধ আগামী’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।
তিনি বলেন, একটি দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হলো জ্বালানি ও বিদ্যুৎ। জ্বালানির গুরুত্ব অনুধাবন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট ব্রিটিশ কোম্পানি ‘শেল ওয়েল’ এর ৫টি গ্যাসক্ষেত্রের মালিকানা রাষ্ট্রের অনুকূলে গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন, যা অদ্যাবধি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জ্বালানি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশে জ্বালানির অন্যতম উৎস হচ্ছে প্রাকৃতিক গ্যাস। দেশের গ্যাসক্ষেত্রের অধিকাংশই স্থলভাগে অবস্থিত। এক্ষেত্রে প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ বৃদ্ধির জন্য স্থলভাগের পাশাপাশি দেশের বিশাল সমুদ্রসীমায় অনুসন্ধান কার্যক্রম জোরদার এবং উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ কার্যক্রম আরো ত্বরান্বিত করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর একক নির্ভরতা কমিয়ে মিশ্র এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও জনগণকে উৎসাহিত করতে হবে। এছাড়া ভবিষ্যৎ উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে জ্বালানি সংক্রান্ত মৌলিক গবেষণা এবং প্রায়োগিক ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ওপর জোর দেয়া অত্যন্ত জরুরি।
তিনি বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক বাস্তবতায় অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিধারা স্থিতিশীল রাখতে জনগণকে জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী ও সচেতন করার কোনো বিকল্প নেই।
জেএন/কেকে