রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অফিসিয়াল গাড়ির জ্বালানি তেল চুরি চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, চক্রটি প্রতিদিন অন্তত ৫০টি সরকারি গাড়ি থেকে ৩ থেকে ৪ লিটার করে তেল সংগ্রহ করত। এভাবে একটি দোকানেই সরকারি গাড়ি থেকে চুরি করা প্রায় ২০০ লিটার তেল ক্রয় করত তারা। মাসে এ জ্বালানি তেলের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৬ হাজার লিটার। এ রকম মোট তিনটি দোকানে মাসে প্রায় ১৮ হাজার লিটার চোরাই তেল কেনাবেচা হত।
গ্রেপ্তাররা হলেন, মো. আবু কালাম (৫৬), মো. সুমন (৪০), মো. বাবু (২১), মো. শাহিন (১৯)। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রায় ৬০০ লিটার অকটেন ও পেট্রোল উদ্ধার করে পুলিশ।
বুধবার (১০ আগস্ট) বিকেলে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল আগারগাঁওয়ে বিজ্ঞান প্রযুক্তি জাদুঘরের সামনে কয়েকটি দোকান সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অফিসিয়াল গাড়ির জ্বালানি তেল চুরি করে বিক্রি হচ্ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে আজ দুপুরে তেজগাঁও জোনের এসি মো. মাহমুদ খানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তিনটি দোকান থেকে প্রায় ৬০০ লিটার অকটেন ও পেট্রোল উদ্ধার করে। এ সময় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার চক্রের সদস্যদের বরাত দিয়ে ডিসি এইচ এম আজিমুল হক বলেন, প্রতি লিটার অকটেন ১০০ টাকায় কিনত তারা। এরপর খোলা বাজারে ১২৮ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি করত। প্রতি লিটার পেট্রোল ১১০ টাকায় কিনে খোলা বাজারে ১৩০ টাকায় এবং প্রতি লিটার ডিজেল ১০০ টাকায় কিনে খোলা বাজারে ১০৮ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি করে আসছিল চক্রটি।
তিনি আরও বলেন, চক্রের সদস্যরা প্রতিটি সরকারি গাড়ি থেকে ৩-৪ লিটার তেল ক্রয় করত। দৈনিক ৪৫-৫০টি গাড়ি থেকে এভাবে তেল সংগ্রহ করত তারা। সে হিসেবে একটি দোকানে সরকারি গাড়ি থেকে আনুমানিক ২০০ লিটার তেল ক্রয় করত চক্রটি। মাসিক হিসাব প্রায় ৬ হাজার লিটার দাঁড়ায়। এ রকম মোট তিনটি দোকানে মাসে প্রায় ১৮ হাজার লিটার চোরাই তেল ক্রয়-বিক্রয় হত।
ডিসি তেজগাঁও আরও বলেন, সুনির্দিষ্ট কিছু তথ্য পেয়েছি যা যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি যে সরকারি কর্মকর্তাদের গাড়িচালক এ তেল চুরি চক্রের সঙ্গে জড়িত তাদেরও বিষয়টি অবহিত করা হবে।
জেএন/কেকে