পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে ইউনিয়ন পরিষদের, কৃষি কর্মকর্তা, তহশিলদার ও ইউপি সচিবদের দুনীর্তি বন্ধ করতে হবে। তহশিলদার ও ইউপি সচিবরা মোস্ট পাওয়ারফুল অ্যান্ড করাপটেড।’
শনিবার (১৩ আগস্ট) নগরীর লেকশোর হোটেলে ‘জাতীয় উন্নয়নে অঙ্গীকার : শিক্ষা, মানসম্মত কর্মসংস্থান, জেন্ডার সমতা শীর্ষক এক নাগরিক সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, জাতীয় পর্যায় থেকে এদিকে নজর দিতে হবে। এরা অনেক বেশি ক্ষমতাবান, যার কারণে প্রান্তিক মানুষজন নায্যতা পায় না। এরা প্রান্তিক মানুষদের নিয়ে কাজ করে। অথচ দেখবেন এই তহশিলদার ও ইউপি সদস্য আশপাশে ভালো পরিবেশে থাকে। সকালে ভালো যানবাহনে চড়ে অফিসে যায়।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বৈশ্বিক সংকট চলছে। বিশ্ব এখন টালমাটাল অবস্থায়। সেই ঢেউ কিন্তু আমাদের তরীতেও লেগেছে। আমাদের সরকারপ্রধান সঠিকভাবে দেশ পরিচালনা করছেন। তাই আমরা ব্যয় সংকোচন করছি, মৃতব্যয়িতা অবলম্বন করছি।
আওয়ামী লীগ সরকার ইশতেহার বাস্তবায়ন কাজ শক্তিশালী করছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সরকার ইশতেহার বাস্তবায়ন করছে। তবে গ্রাম ও শহরের মানুষের চাওয়া-পাওয়া এক নয়। গ্রামের মানুষ নানা ভাতার কার্ড, পানি, স্যানিটেশন, সেতু ও সড়ক চায়। উন্নয়নের জন্য দেশে স্থিতিশীল পরিবেশ প্রয়োজন, এজন্য শোভন রাজনীতি প্রয়োজন আছে কেবল শোভন কর্মসংস্থান নয়। দেশের ভোটাররা স্থিতিশীল পরিবেশ, কর্মসংস্থান চায়, এ সরকার তাই করছে।
তিনি আরও বলেন, আমি কিন্তু পিছিয়ে পড়া পরিবারের মানুষ। সুতরাং তাদের দুঃখ-কষ্ট আমি বুঝি। তাই সময় পেলে নাড়ির টানে গ্রামে যাই। গ্রামের মানুষের সমস্যা সমাধানে কাজ করি। আওয়ামী লীগের কিছু জাতীয় ইশতেহার থাকে, আমরা যারা ভোটে দাঁড়াই তাদেরও কিছু ইশতেহার থাকে। গ্রামের মানুষের দৈনন্দিন অবস্থা দেখেই আমরা নিজস্ব কিছু ইশতেহার দিয়ে থাকি।
নাগরিক সম্মেলনে অংশ নেন সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, স্থানীয় শাসন বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশী কবির প্রমুখ।
এসআর/এসএম