পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ তোলা দলগুলোর জোট অল পার্টিজ কনফারেন্স (এপিসি) বলছে, তারা পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী পদে নিজেদের প্রার্থী দেবে এবং সবাই মিলে তাকে সমর্থন দেবে, যাতে সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান দেশটির প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন।
দেশটির প্রধান দুটি দল পিএমএল-এন ও পিপিপি’র অভিযোগ হচ্ছে, গত ২৫ জুলাইয়ের নির্বাচনে ইমরানের দল পিটিআইকে সহযোগিতা করেছে শক্তিশালী পাক সেনাবাহিনী।
কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ এবং প্রয়াত সাবেক প্রেসিডেন্ট বেনজির ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টিসহ আরো বেশ কয়েকটি ছোট ছোট দলের সমন্বয়ে গঠিত ওই জোট বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) এমন ঘোষণা দিয়েছে।
তবে ইমরানের জোটকে চ্যালেঞ্জ করার মতো শক্তি বা সমর্থন বিরোধীরা অর্জন করতে পারবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়ে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। আগামী ১৩ আগস্ট তার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনে পিটিআই ১১৬ আসন পেয়েছে। আর সরকার গঠন করতে হলে ১৩৭ আসন দরকার। বাকি আসনগুলো পিটিআই স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ছোট দলগুলো থেকে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তারা। সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় সমর্থন পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছে পিটিআই।
কিন্তু প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল দুটি বেশ কিছু ছোট দল নিয়ে পার্লামেন্টে ইমরানের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার কথা জানায়। প্রধানমন্ত্রী পদে নিজস্ব প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে এপিসি। নির্বাচনে পিএমএল-এন ৬৪টি এবং পিপিপি ৪৩টি আসন পেয়েছে। এ ছাড়া এপিসির অন্তর্ভুক্ত অন্যতম দল মুত্তাহিদা মজলিস-ই-আমল ১৩টি আসন পেয়েছে। খবর রয়টার্সের
জয়নিউজবিডি/আরসি