বিশেষ প্রতিবেদন :চট্টগ্রাম নগরীর নতুন ব্রিজ সংলগ্ন ফুটপাত ঘিরে গড়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক ঝুঁপড়ি দোকান। সেখানে নানা পসরা সাজিয়ে বিক্রি হয় পণ্য সামগ্রী।
তবে প্রায় সময় চট্টগ্রাম ডেপুটি কমিশনার (ভূমি) অভিযান চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেয় এসব অবৈধ স্থাপনা গুলো।
নতুনভাবে আবারও কেউ না কেউ সে জায়গা দখলে যায়। অনেকেই সরকারের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিয়ে নিজেদের দাবি করে বসে সরকারি এ জায়গাগুলো। এমন একটি প্রতিষ্ঠান বেনওসেন হোল্ডিং লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা ১০ তাহের চেম্বার আগ্রাবাদ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বাকলিয়া থানার নতুন ব্রিজ এলাকায় সড়কের উত্তর-পশ্চিম পাশে ডিসি অফিসের উচ্ছেদের পর দীর্ঘদিন খালি পড়ে থাকা জায়গায় নতুন করে গড়ে উঠেছে ১৩টি স্থায়ী দোকান।
সেমি পাকা ও মজবুত শার্টার দিয়ে তৈরি করা হয়েছে দোকানগুলো। প্রতিটি দোকানের দীর্ঘ ১২ স্কোয়ার ফিটের। ফুটপাত লাগোয়া দোকানগুলোর উপরে বিজ্ঞপ্তি দেয়া আছে বেনওসেন হোল্ডিং লিমিটেড প্রতিষ্ঠানের নামে।
তাতে লেখা আছে‘এত দ্বারা সর্ব সাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাইতেছে যে, বন্দর থানার বাকলিয়া মৌজার বিএস ১নং খাস থতিয়ানের বি এস ৬৭০৯,৬৭১০ ও ৬৭২৮ দাগের ৭৭.৫৫ শতাংশ জমি যথাক্রমে বিজ্ঞ সাব জজ ২য় আদালত চট্টগ্রাম হতে অপর মামলা নং-১৩৭/৯৯২ পরবর্তী মিছ মামলা নং -১৬/১৯৯৯ এবং মহামান্য হাইকোর্টের মিছ আপীর মামলা নং-৩৩/২০০৫ ডিগ্রীমূলে প্রাপ্ত সম্পত্তি খরিদ সূত্রে মালিক বেনওসেন হোল্ডিং লিমিটেড ১০ তাহের চেম্বার আগ্রাবাদ চট্টগ্রাম।
এদিকে চট্টগ্রাম ডিসি অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম জেলার বন্দর থানার বাকলিয়া মৌজার খতিয়ান নম্বর-১, জে এল নং-৮ এ উল্লেখ রয়েছে বেনওসেন হোল্ডিং লিমিটেডের টাগানো বিজ্ঞপ্তিতে দেয়া বি এস ৬৭০৯,৬৭১০ ও ৬৭২৮ এর মালিক বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ডেপুটি কমিশনার চট্টগ্রাম। এ দাগগুলো ছাড়াও ৬৬৮৫, ৬৬৮৬, ৬৭৫৪, ৬৭৫১, ৬৭৫২ দাগের জায়গাগুলোর মালিক সরকার।
একাধিক এলাকাবাসীর অভিযোগ, সরকারি জায়গা দখলের জন্য বেনওসেন হোল্ডিং লিমিটেড আদালতকে হাতিয়ার বানিয়ে মামলা দায়ের করে। পরে আদালতের আদেশ নিয়ে আশে-পাশের বেশ কিছু সরকারি জায়গা দখলে নেয়।
জানা গেছে, নতুনভাবে গড়ে তোলা দোকানগুলোর প্রতিটি ৫/৬ লাখ টাকা অগ্রীম নিয়ে প্রায় ১৫ হাজার টাকায় ভাড়া দেওয়া হয়েছে। ইমাম গ্রুপের মালিকের ছেলে মুন্না, আনোয়ারার জুঁইদন্ডি এলাকার সিদ্দিক আহমদের ছেলে গিয়াস উদ্দিন, চান্দগাঁও কসাইপাড়া এলাকার নুর বক্সের ছেলে রফিক আলম এসব দোকান ভাড়া দিয়েছেন। এদিকে দোকানগুলো উচ্ছেদে সড়ক ও জনপথ বিভাগ নোটিশ দিয়েছে।
স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মোহাম্মদ নূর ও শাহাব উদ্দিনের অভিযোগ, দোকানগুলো নতুন করে গড়ে তোলার আগে সেখানে ঝুঁপড়ি দোকান ছিল। জেলা প্রশাসক উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে তা ভেঙ্গে দেয়।
এরপর নতুন করে তাদের কাছে দোকান ভাড়া দেয় গিয়াস উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। যিনি ইমাম শিল্প গ্রুপের লোক বলে দাবি করেন। তিনি প্রায় ১০ জন ব্যবসায়ীর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক ব্যবসায়ী মামলা করেছেন। যা বিচারাধীন রয়েছে।
জেএন/এফও