ইউসিবি তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ২৭১ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।
এদিন শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধন্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
দলের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করেন আসেন দুই ব্যাটসম্যান লিটন আর ইমরুল। শুরুটা দেখে করলেও বিপদ আসতে পারতো ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই। রোডেশিয়ানরা রান আউটটা মিস না করলে দলীয় এবং ব্যক্তিগত ১ রানেই ফিরতে পারতেন লিটন। তবে সে যাত্রাতে বেঁচেছেন পরে।
এরপর আবার দৃশ্যপটে আসেন লিটন ইনিংসেত তৃতীয় ওভারে রাজার হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। রাজা ধরা বলটা মাটি ছুঁয়ে না গেলে ফিরতেন পারবেন সেবারও। ক্রিজে অস্বস্তিতে ভোগা লিটন নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি আর বেশিক্ষণ, ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে চাতারার শিকার হয়ে মাঠ ছেড়েছেন ব্যক্তিগত ৪ রানে।
লিটনের আউটের পর ব্যাট হাতে আসেন বাংলাদেশের হয়ে ৩০ বছর বয়সে আজই অভিষেকের ক্যাপটা পাওয়া বহুল আলোচিত ক্রিকেটার ফজলে রাব্বি। তবে করতে পারেননি নিজের নামের প্রতি সুবিচারটা, শূন্য হাতে ফিরেছেন ওই ওভারেরই শেষ বলে যেয়ে। এরপর চারে ব্যাট করতে আসা দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও ইমরুল কায়েস মিলে ইনিংস মেরামতের কাজ করলেও পরে তৃতীয় উইকেটে ৪৯ রানে জুটি গড়ে ব্যক্তিগত ১৫ রানে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক।
দলীয় ৬৬ রানে তিন উইকেট হারানোর পর ব্যাট করতে আসেন মোহাম্মদ মিঠুন। শুরু থেকে জিম্বাবুইয়ান বোলারদের উপর চড়াও হেয়ে খেলতে থাকেন এই ব্যাটসম্যান। এদিন চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে নিজের ব্যক্তিগত রান তোলার পাশাপাশি ইমরুল কায়েসকে নিয়ে দলেরও একটা শক্ত ভিত পাইয়ে দিতে চেষ্টা করেন মিঠুন। তবে আগাতে পারেননি বেশিদূর, ফিরিছেন ৩৭ রানে।
মিঠুনের আউটের পর মাত্র দুই রানের ব্যবধানে একে একে ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (০) এবং মেহেদি হাসান মিরাজ (১) ও। ফলে দলীয় ১৩৭ রানে ৩ উইকেট থেকে স্কোরটা ক্ষণিকের মধ্যে হয়ে যায় ৬ উইকেটে ১৩৯। সতীর্থদের আসাযাওয়ার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে রাখা ইমরুল নিজের খোলস ছেড়ে বের হতে পারছিলেন না সঙ্গীহীনতাতে। পর পেলেন সেই সুযোগ, জুটি গড়লেন সাউফউদ্দিনের সাথে।
সেখান থেকে দীর্ঘদিন বাদে একাদশে সুযোগ পাওয়া সাইফউদ্দিনকে নিয়ে তৈরি করেন ১২৭ রানের পার্টনারশিপ। এই ফাঁকে অবশ্য তুলে নেন এই ফরম্যাটে নিয়েছেন নিজের তৃতীয় শতকটা। এরপর হয়েছেন আরো আগ্রাসী। ১৩টা চার ও ৬টা ছয়ের সাহায্যে শতকটাকে টেনে নিয়ে গেছেন ১৪৪ পর্যন্ত, ফিরিছেন ইনিংসের ৪৯ তম ওভারে। ইমরুলের এই ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসের কল্যাণেই ৮ উইকেট হারিয়ে ২৭১ রানের বিশাল পুঁজি পায় বাংলাদেশ দল।
এদিন অবশ্য কম যাননি সাইফউদ্দিনও। ইমরুলের সাথে সমান তালে ব্যাট চালিয়ে তুলে নিয়েছেন ওয়ানডেতে নিজের প্রথম অর্ধশতকটা। শেষ ওভারে ফিরিছেন সেই ৫০ রান নিয়েই।
জয়নিউজ/শহীদ