বিখ্যাত জার্মান লেখক ফ্রানৎস কাফকার ‘মেটামরফোসিস’ গল্পটি শুরু হয় তার মূল চরিত্র গ্রেগরের দৈহিক পরিবর্তন অর্থাৎ মানুষ থেকে তেলাপোকা হওয়ার মধ্য দিয়ে। ইউজেন আয়োনেস্কোর ‘গন্ডার’ নাটকটির প্রধান চরিত্র বেরেঞ্জার অভিজ্ঞতা অনেকটা সেইরকম। নাটকে বেরেঞ্জারের বন্ধু জ্যঁ, প্রেমিকা ডেইজি সবাই একে একে মেটামরফিকালি গন্ডার পরিণত হয়।
এমন গল্প নিয়ে ফেইম- স্কুল অফ ড্রামা, ডান্স এন্ড মিউজিক এর বিশ বছর পূর্তিতে ৩ দিনব্যাপী সমাপনী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে ২ আগস্ট মঞ্চস্থ করে নাটক ‘গন্ডার’। শিল্পকলা একাডেমীতে মঞ্চস্থ হওয়া নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও ফেইমের পরিচালক অসীম দাশ।
অনুষ্ঠানের শেষ দিনে ৩ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মঞ্চস্থ হবে নাটক জর্জ দদ্যাঁ ।
গন্ডার নাটকে আমাদের বর্তমান সমাজে মনুষত্বের যে আবেদন, মানুষের মত বেঁচে থাকার যে স্বপ্ন, সংগ্রাম সেটি দেখানো হয়েছে। নাটকটিতে বিভিন্ন চরিত্রের মধ্যে বিভিন্ন দ্বন্দ্ব সম্পর্কেল মাধ্যমে তাদের ব্যাক্তিগত চিন্তা, স্বপ্ন, টানাপোড়েন উঠে আসে। তিনি এখানে দেখান যে নাটকের বিভিন্ন চরিত্রগুলো একটা সময় গন্ডার হয়ে যেতে থাকে। এখানে ‘গন্ডার’ শব্দটির মাধ্যমে মানুষ যে পশুর স্তরে নেমে যাচ্ছে সেটি বোঝানো হয়েছে।
নাটকের শেষদিকে বেরেঞ্জার সব মানুষের এরকম পশুর স্তরে নেমে যাওয়া দেখে ব্যথিত হয়। তার বন্ধুর গন্ডারে পরিণত হওয়া তাকে ব্যথিত করে। সে মনে মনে ভয় পায়, সেও যদি ওদের মত ‘গন্ডার’ হয়ে যায়! সে শঙ্কিত হয়। নিজেকে শক্ত করে। নিজের ভেতর শক্তি আনতে চায়। সে এই পৃথিবীতে মানুষ হয়ে বাঁচতে চায়। শেষদৃশ্যে সে বলে ‘আমি ওদের মত হতে চাইনা। আমি মানুষ হয়ে বাঁচতে চাই।
গন্ডার নাটকে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মুবিদুর রহমান সুজাত, পলি চৌধুরী, বাপ্পী সিকদার, কমল বড়ুয়া, উৎপল দাশগুপ্ত, নিশিগন্ধা দাশ গুপ্তা, দীপ্ত চক্রবর্তী, আজমল হোসাইন, আশরাফা হোসাইন, খাদিজাতুল কুবরা, সাইফুল, সাবিহা বিনতে জসিম।