চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২২ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল আজ সোমবার (১৫ আগস্ট) সকাল ১১ টায় কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ’র সভাপতিত্বে ও জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্টিত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. সুমন বড়ুয়া। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, ফৌজদারহাট বক্ষব্যাধি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এস.এম নুরুল করিম, বন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ জাবেদ, চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনী) ডা. রওশন আরা শিমুল, সিনিয়র কনসালটেন্ট (কার্ডিওলজি) ডা. আবুল হোসেন শাহীন, সিনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থো) ডা. অজয় দাশ, কনসালটেন্ট (অ্যানেসথেসিয়া) ডা. রাজদ্বীপ বিশ্বাস ও বিভাগীয় টিবি এক্সপার্ট ডা. বিপ্লব পালিত। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন ফেয়ারী হিল জামে মসজিদের খতিব মুফতি মৌলানা বখতিয়ার উদ্দিন।
আলোচনা সভার পূর্বে জাতির পিতার শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ, চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ বিিলয়াছ চৌধুরী, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম, ফৌজদারহাট বক্ষব্যাধি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এস.এম নুরুল করিম, বন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ জাবেদ, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় চর্ম ও সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমান, সরকারী মেডিকেল সাব ডিপো, বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিভাগীয় অফিস সহকারী কল্যাণ সমিতি ও সরকারী গাড়ি চালক সমিতিসহ অন্যান্যরা।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে বক্তারা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে আমরা মহান স্বাধীনতা অর্জন করেছি। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি তারাই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করেছে। স্বাধীনতা বিরোধীরা ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিল। ইতিহাসের এ বর্বরতম হত্যাকান্ডের মধ্যে দিয়ে বাঙ্গালী জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায় যুক্ত হয়েছিল। আজ তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের রোল মডেল। শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও উদ্দেশ্য হৃদয়ে ধারণ করতে হবে।
জেএন/কেকে