সোভিয়েত ইউনিয়নের শাসক জোসেফ স্তালিনের জারি করা এক আদেশ পুনরুজ্জীবিত করলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত সোমবার পুতিন স্বাক্ষরিত এক নতুন আদেশে বলা হয়েছে, এখন থেকে যে নারী ১০টি বা তার চেয়ে বেশি সন্তান নেবেন তাঁকে ‘মাদার হিরোইন’ খেতাব দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে পুরস্কার হিসেবে নগদ অর্থও দেবে রুশ সরকার।
মার্কিন সম্প্রচার মাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার জনসংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে কমছে। জনসংখ্যার এই নিম্নগামী প্রবণতা ঠেকাতে রুশ সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে, এই ‘মাদার হিরোইন’ খেতাবের শুরু হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। দেশটির তৎকালীন শাসক জোসেফ স্তালিন এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ওই সময় দেশটির জনসংখ্যা হতাশাজনকভাবে কমে গিয়েছিল। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ১৯৯১ সালে এই প্রকল্প বাতিল করা হয়।
পুতিনের নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, যেসব রুশ নারী ১০ বা তার বেশি সংখ্যক সন্তান জন্ম দেবেন তাঁদের সরকারের পক্ষ থেকে এককালীন ১০ লাখ রুবল (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৬ লাখ টাকা) পুরস্কার দেওয়া হবে।
সর্বশেষ গ্রীষ্মে প্রকাশিত এক সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে রাশিয়ায় প্রতি মাসে জনসংখ্যা ৮৬ হাজারেরও বেশি পরিমাণে কমেছে।
স্বাভাবিক সময়েও রাশিয়ার জনসংখ্যা বছর বছর কমছে, সেখানে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশটির বিপুলসংখ্যক সেনা হারানোর ফলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার আরও নেমে যাচ্ছে। ফলে, জনসংখ্যা বাড়ানোর ত্বরিৎ পদক্ষেপ হিসেবেই এই উদ্যোগ নিয়েছে পুতিন সরকার।
এ ছাড়া জনসংখ্যা কমার পাশাপাশি রাশিয়া থেকে সব মিলিয়ে প্রায় ৭৫ হাজার ৩০০ জন বিভিন্ন দেশে অভিবাসী হয়েছেন। তাঁদের অধিকাংশ গেছেন ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের পর কিংবা দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দমনপীড়নের কারণে।
জেএন/কেকে