করোনায় বিশ্বজুড়েই বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু। শুক্রবার করোনায় বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৩৭ হাজার ৩৪০ জন এবং কোভিডজনিত অসুস্থতায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৭৫৩ জনের।
এছাড়া এদিন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৭৬৬ জন।
করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এ রোগে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হালনাগাদ সংখ্যা প্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্স থেকে এসব তথ্য।
শুক্রবার দৈনিক সংক্রমণ-মৃত্যুতে হিসেবে বিশ্বে শীর্ষে ছিল জাপান; দেশটিতে এই দিন করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২ লাখ ৮ হাজার ৪৮৩ জন এবং কোভিডজনিত অসুস্থতায় মারা গেছেন ৩০০ জন।
জাপান ব্যতীত বিশ্বের আরও যেসব দেশে সংক্রমণ-মৃত্যুর উচ্চহার দেখা গেছে, সেসব হলো— যুক্তরাষ্ট্র (মৃত ২৬৩ জন, নতুন আক্রান্ত ২৫৩ জন) ব্রাজিল (মৃত ২০২ জন, নতুন আক্রান্ত ২২ হাজার ১৬৭ জন), ইতালি (মৃত ১৪৭ জন, নতুন আক্রান্ত ২৭ হাজার ২৯১ জন), অস্ট্রেলিয়া (মৃত ১৩৪ জন, নতুন আক্রান্ত ১৯ হাজার ৭৭৮ জন) ও দক্ষিণ কোরিয়া (নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ৭৮ হাজার ৪৮০ জন, মৃত ৫৮ জন)।
বিশ্বে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৯৪ লাখ ৭৪ হাজার জন। এই রোগীদের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ১ কোটি ৯৪ লাখ ২৯ হাজার ৭২৩ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন ৪৪ হাজার ২৭৭ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।
তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫৯ কোটি ৮৬ লাখ ১৩ হাজার ৪০৪ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে মোট ৬৪ লাখ ৬৫ হাজার ৮০০ জনের।
এছাড়া গত আড়াই বছরে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ৫৭ কোটি ২৬ লাখ ৭৩ হাজার ৬০৪ জন।
জেএন/কেকে