গার্ডার দুর্ঘটনায় ক্রেনচালকসহ ১০ আসামি রিমান্ডে

রাজধানীর উত্তরায় বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার পড়ে একই পরিবারের পাঁচজন সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় ক্রেনচালক মো. আল-আমিন হোসেন ওরফে হৃদয়সহ (২৫) দশজনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

- Advertisement -

শুক্রবার (১৯ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদ শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

- Advertisement -google news follower

এদিন তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু-তদন্তের জন্য আল-আমিন, রাকিব ও জুলফিকারকে দশদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়াসীন গাজী। শুনানি শেষে বিচারক তাদের তিনজনকে চারদিন করে মঞ্জুর করেছেন।

এছাড়া রুবেল (২৮), মো. আফরোজ মিয়া (৫০), মো. ইফতেখার হোসেন (৩৯), আজহারুল ইসলাম মিঠু (৪৫), তোফাজ্জল হোসেন ওরফে তুষার (৪২), রুহুল আমিন মৃধা (৩৩) ও মো. মঞ্জুরুল ইসলামকে (২৯) সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে বিচারক তাদের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

- Advertisement -islamibank

এর আগে বুধবার (১৭ আগস্ট) রাতে ঢাকা, গাজীপুর, সিরাজগঞ্জ ও বাগেরহাট থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার আসামিরা হলেনঃ ক্রেনচালক আল-আমিন হোসেন ওরফে হৃদয়, রাকিব হোসেন (২৩), দুর্ঘটনাস্থলে নিরপাত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ফোর ব্রাদার্স গার্ড সার্ভিসের ট্রাফিকম্যান মো. রুবেল (২৮), মো. আফরোজ মিয়া (৫০), ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সেফটি ইঞ্জিনিয়ার মো. জুলফিকার আলী শাহ (৩৯), হেভি ইকুইপমেন্ট সরবরাহের দায়িত্বে নিয়োজিত ইফসকন বাংলাদেশ লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী মো. ইফতেখার হোসেন (৩৯), হেড অব অপারেশন মো. আজহারুল ইসলাম মিঠু (৪৫), ক্রেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বিল্ড ট্রেড কোম্পানির মার্কেটিং ম্যানেজার তোফাজ্জল হোসেন ওরফে তুষার (৪২), প্রশাসনিক কর্মকর্তা রুহুল আমিন মৃধা (৩৩) ও মো. মঞ্জুরুল ইসলাম (২৯)।

গত সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে উত্তরায় প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে বিআরটি প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার ছিটকে পড়ে প্রাইভেটকারের পাঁচ যাত্রী নিহত হন। ওই গাড়িতে থাকা নবদম্পতি গুরুতর আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান। হতাহতরা ঢাকায় একটি বৌ-ভাতের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ফিরছিলেন।

নিহতরা হলেনঃ আইয়ুব আলী হোসেন রুবেল (৫৫), ফাহিমা আক্তার (৩৮), ঝরণা আক্তার (২৭), জান্নাতুল (৬) ও জাকারিয়া (৪)। এরই মধ্যে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আহত নবদম্পতি হৃদয় (২৬) ও রিয়ামনি (২১) উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।

ঘটনার রাতেই নিহত ফাহিমা আক্তার ও ঝরণা আক্তারের ভাই মো. আফরান মণ্ডল বাবু বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় এ মামলা করেন। মামলা নম্বর-৪২।

মামলায় অবহেলাজনিতভাবে ক্রেইন পরিচালনাকারী চালক, প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এরই মধ্যে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

জেএন/কেকে

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM