তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ১২ রান ও ইনিংস ব্যবধানে পরাজিত করে ১-০ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। ইংল্যান্ড দুই ইনিংসে করে যথাক্রমে ১৬৫ ও ১৪৯ রান। দক্ষিণ আফ্রিকা করে ৩২৬ রান।
৭ উইকেটে ২৮৯ রান নিয়ে তৃতীয় দিন ব্যাট করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। সফরকারীদের নামের পাশে তখন লিড ছিল ১২৪ রানের। দিনের শুরুতে কোনো রান যোগ করার আগেই আউট হন কাগিসো রাবাদা। মার্কো ইয়ানসেনও অর্ধশতক পূর্ণ করতে ব্যর্থ হন। ৭৯ বলে ৪৮ রান করে বিদায় নেন ইয়ানসেন।
অ্যানরিখ নরকিয়া খেলেন ২৮ রানের কার্যকরী ইনিংস। তার ৪২ বলের হার না মানা ইনিংসে লিড বাড়িয়ে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। লুঙ্গি এনগিডিকে শিকার করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে অলআউট করেন স্টুয়ার্ট ব্রড। ৩২৬ রানে থামে প্রোটিয়ারা। লিড পায় ১৬১ রানের।
ইংল্যান্ডের পক্ষে বেন স্টোকস ও ব্রড তিনটি করে উইকেট শিকার করেন। ম্যাটি পটস নেন দুইটি উইকেট। একটি করে উইকেট পান জেমস অ্যান্ডারসন ও জ্যাক লিচ।
প্রোটিয়াদের লিড মোকাবেলা করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসেও শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ইংল্যান্ড। ২০ রানে প্রথম উইকেটটি হারানোর পর ৮৬ রানের মধ্যেই ছয়টি উইকেট হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। জ্যাক ক্রোলি ১৩, ওলি পোপ ৫, জো রুট ৬, জনি বেয়ারস্টো ১৮, অ্যালেক্স লিস ৩৫ ও বেন ফোকস ৬ রানে বিদায় নেন।
অধিনায়ক বেন স্টোকস জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। চারটি চার হাঁকিয়ে ৩০ বলে ২০ রান করে স্টোকস যখন বিদায় নেন তখন ১৪৬ রানে নয়টি উইকেট হারিয়ে ইনিংস হারের শঙ্কার পড়ে ইংল্যান্ড। এবং শেষ পর্যন্ত সেটিই বাস্তবে রূপ নিয়েছে। টানা দুই বলে আউট হন স্টোকস ও পটস। অমানিশা দেখতে থাকে ইংল্যান্ড।
জেমস অ্যান্ডারসন ও জ্যাক লিচ শেষ উইকেটে ইংল্যান্ডের ইনিংস হার এড়াতে ব্যর্থ হন। অ্যান্ডারসনকে বোল্ড করে ইংল্যান্ডের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন ইয়ানসেন। ১৪৯ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। ১২ রান ও ইনিংস ব্যবধানে জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
দ্বিতীয় ইনিংসে প্রোটিয়াদের পক্ষে নরকিয়া তিনটি এবং রাবাদা, ইয়ানসেন ও কেশব মহারাজ দুইটি করে উইকেট পান। এই ম্যাচে ২৫০ টেস্ট উইকেট শিকারির ক্লাবে প্রবেশ করলেন ২৭ বছর বয়সী পেসার রাবাদা। ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি।
জেএন/কেকে