পটুয়াখালীর কুয়াকাটা আলীপুর ও মহিপুর মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে ১৮টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে।
এসব ট্রলারে থাকা দেড় শতাধিক জেলেকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও এখনো দু শতাধিক জেলের কোন খোঁজ মেলেনি। নিখোঁজ জেলেদের পরিবারে চলছে মাতম।
শনিবার (২০ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির উদ্ধারকারী ট্রলারসহ স্থানীয়রা দেড় শতাধিক জেলেকে উদ্ধার করে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে পৌঁছায়। এ সময় জেলেরা আবেগে আপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আজ রবিবার (২১ আগস্ট) সকালে ১৮টি ট্রলার ডুবি ও নিখোঁজদের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান, কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা ও মহিপুর মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজা।
কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা বলেন, আলীপুরের ডুবে যাওয়া ৯ ট্রলারের জেলেদের সুন্দরবনসহ বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এরমধ্যে ১৩ জনকে সাগর থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। আর ১১ জেলেকে ভারতের রায়দীঘির জেলেরা উদ্ধার করেছে। তারা বর্তমানে ভারতের সাউথ সুন্দরবন ফিসারম্যান অ্যান্ড ফিস ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের হেফাজতে রয়েছে। আর বাকি জেলেদের আমাদের মালিক সমিতির ট্রলার ও স্থানীয় জেলেরা উদ্ধার করেছে।
তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছে অন্তত ১২৬ জেলে। ডুবে যাওয়া ট্রলার মালিক ও নিখোঁজ জেলেদের বাড়ি আলীপুরে।
মহিপুর আড়ৎ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজা বলেন, মহিপুরের আড়ৎগুলোতে মাছ দেওয়া ৯টি ট্রলার ডুবে গেছে। আর এখনও অন্তত ১৩০ জেলেসহ ৯টি ট্রলার নিখোঁজ রয়েছে।
এছাড়া, গভীর সাগর থেকে তীরে ফেরার পথে একটি ট্রলার থেকে রফিক নামের এক জেলে বঙ্গোপসাগরে পড়ে যান। তিনিও এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন। ডুবে যাওয়া ও নিখোঁজ ট্রলারের মালিকদের বাড়ি মহিপুর, কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী ও ভোলার চরফ্যাশনে।
কুয়াকাটা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) আখতার মোর্শেদ জানান, নিখোঁজ জেলে ও ট্রলার উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে আমাদের উদ্ধারকারী নৌ যানের সংকট রয়েছে।
জেএন/পিআর