ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে পুরোনো ভিডিওর সঙ্গে সত্য-মিথ্যা যুক্ত করে উসকানিমূলক ও জনজীবনে অস্থিরতা তৈরি করে এমন ভুয়া সংবাদ ও ভিডিও কনটেন্ট সরিয়ে ফেলতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
রোববার দুই আইনজীবীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আরাফাত হোসেন খান এই নোটিশ পাঠান। নোটিশকারী দুই আইনজীবী হলেন- সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নিলুফার আনজুম ও জজ কোর্টের আইনজীবী আশরাফুল ইসলাম।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সিনিয়র সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা বিভাগের সচিব, ফেসবুক ও ইউটিউব বাংলাদেশের পাবলিক পলিসি বিষয়ক প্রধান, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ ১১ জনকে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, ফেসবুক ও ইউটিউব কর্তৃপক্ষ অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়াতে উসকানিমূলক পোস্টের ওপর নজর রাখতে এবং তা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন- যা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও জনজীবনে শৃঙ্খলার জন্য হুমকি। ভুয়া তথ্য রাষ্ট্রযন্ত্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে যা সংবিধানের ২৭, ৩১, ৩৮ ও ৪৪ ধারার লঙ্ঘন। এতে বাংলাদেশের টেলিকমিউনিকেশন আইনেরও লঙ্ঘন হচ্ছে।
নোটিশে আরও বলা হয়, সম্প্রতি দেখা গেছে যে ফেসবুক ও ইউটিউব তাদের নজরদারি কৌশল পুরোপুরি অনুসরণ করছে না। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটা বেশি ঘটছে। বাংলাদেশে প্রচুর ভুয়া সংবাদ, কনটেন্ট, ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে। এতে করে অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বুদ্ধিজীবীর সম্মানহানি হচ্ছে।
এ কারণে নোটিশ দিয়ে এসব কনটেন্ট সরিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে, অন্যথায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নোটিশ পাঠানো সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।
জেএন/কেকে