চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে সাত বছর আগে সংঘটিত রুমি আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধূ হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ভিকটিম রুমির শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে গ্রেফতারের পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। ২০১৬ সালের ২৩ মে বাঁশখালী কাথারিয়া ইউনিয়নে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। এ ঘটনায় ২৪ মে বাঁশখালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়।
সোমবার হাটহাজারী উপজেলার চৌধুরীহাট এলাকার ভাড়া বাসা থেকে ইয়াকুব নবী (৬৭) এবং তার স্ত্রী খতিজা বেগমকে (৫৮) গ্রেফতার করেন পিবিআই, চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের পরিদর্শক মো. বাবুল আক্তার। গ্রেফতার দম্পতির বাড়ি বাঁশখালী উপজেলার কাথারিয়া ইউনিয়নেরর মধ্যম মানিক পাঠান মধ্যার বাড়ি।
পিবিআই ইন্সপেক্টর নেজাম উদ্দিন জানান, পুত্রবধূ রুমিকে হত্যা করে ওই দম্পতি সাত বছর ধরে পলাতক ছিলেন। গ্রেফতারের পর আজ ২২ আগস্ট চট্টগ্রামের একটি আদালতে পুত্রবধূ হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন শ্বাশুড়ি খতিজা বেগম।
গ্রেফতার দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিন জানান, ২০১৬ সালের পবিত্র শবে-বরাতের দিন রান্নাকরা মাংস ও রুটি নিয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে পুত্রবধূ রুমি আক্তারকে শ্বশুর ইয়াকুব নবী শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ভিকটিমের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে বসতঘরের বিমের সাথে ঝুলিয়ে রাখেন।
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হওয়ার পরপর ইয়াকুব নবী ও তার স্ত্রী খতিজা বেগম পালিয়ে গিয়ে হাটহাজারী থানাধীন চৌধুরীহাট এলাকায় ভাড়া বাসায় সাত বছর আত্মগোপনে থাকেন। অবশেষে প্রযুক্তির ব্যবহার করে গতকাল রাতে এই দম্পতিকে হাটহাজারীর চৌধুরীহাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন পিবিআই, চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের পরিদর্শক মো.বাবুল আকতার।
জেএন/এফও/কেকে