জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল হামিদ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের (২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থী ছিলেন।
রবিবার (২১ আগস্ট) বেলা পৌনে ১১টায় উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হামিদ। মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি মো. কাশেদুল ওহাব তুহিন ও হামিদের সহপাঠীরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। হামিদের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলা সদরের কবুরহাট গ্রামে। তার বাবা-মা কুষ্টিয়াতেই থাকেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি মেজো। তবে হামিদ উত্তরায় একটি ফ্লাট ভাড়া নিয়ে স্ত্রী ও ২ বছরের সন্তানসহ ভাড়া থাকতেন এবং চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ করছিলেন।
হামিদের বন্ধু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের মো. আনোয়ার হোসাইন বলেন, ‘১৬ আগস্ট জ্বরে আক্রান্ত হয় হামিদ। প্রথমে স্বাভাবিক জ্বর ধরে নিয়ে সে ফার্মেসি থেকে সাধারণ জ্বরের ওষুধ খায়। ওষুধ খাওয়ার পর মাথাব্যাথা ও সমস্যা দেখা দেওয়া শুরু হয়। এরপরেই সে ১৮ আগস্ট উত্তরার মহিলা হাসপাতালে যায় ডাক্তার দেখানোর জন্য। সেখানে তারা তাকে ভর্তি হতে বলা হয়। ভর্তি হওয়ার পর বিভিন্ন ধরনের টেস্ট করা হয় এবং সবার শেষে ডেঙ্গু টেস্ট করা হয়। অর্থাৎ ১৯ আগস্ট রাতে গিয়ে ডেঙ্গু হয়েছে জানতে পারে। তবে সেখানে তার অবস্থা আরও খারাপ হলে তার বন্ধুরা তাকে ২০ আগস্ট বিকাল ৫টায় উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আরো অবনতির দিকে গেলে তাকে ওইদিন ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। এরপর ২১ আগস্ট সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে সে মৃত্যুবরণ করে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এ বছর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১৯ জন। এ বছর সারা দেশে ৪ হাজার ৩৪৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় মোট ভর্তি রোগী ৩ হাজার ৬১৮ জন, ঢাকার বাইরে ভর্তি রোগী ৭২৬ জন।
এর আগে গত বছরের ১৯ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তাবাসসুম শাহীরাহ আকলিমা, ২০২০ সালের নভেম্বরে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রণজিৎ দাস সরকার এবং ২০১৯ সালের ২৭ জুলাই ফার্মেসি বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী উখেংনু রাখাইন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছিলেন।
জেএন/কেকে