রাঙ্গামাটির লংগদুতে উপজাতি দুই সশস্ত্র গ্রুপের গোলাগুলির ঘটনায় ৬ জন নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন অপর তিন জন। ঘটনাস্থল থেকে একে-৪৭ রাইফেল উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
স্থানীয় ও নিরাপত্তা বাহিনী জানায়, গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার পর থেকে নানিয়ারচর ও লংগদুর মাঝামাঝি কাট্টলী এলাকায় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস ও প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ গ্রুপের সদস্যদের মাঝে গোলাগুলি শুরু হয়। প্রায় চার ঘণ্টার সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ছয় জন এবং আহত হন আরও তিন জন।
এলাকাবাসী জানায়, আধিপত্য ও চাঁদার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে এই সংঘর্ষ ঘটে। নিহতরা প্রসীত গ্রুপের ইউপিডিএফ সদস্য বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
এ বিষয়ে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) লংগদু শাখার সাধারণ সম্পাদক মনি শংকর চাকমা জানান, মঙ্গলবার রাতে স্থানীয়দের কাছ থেকে বিষয়টি শুনেছি। ছোট কাট্টলী এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। তবে ওই এলাকাটি তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা।
লংগদু ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার সাধন কুমার চাকমা সকালে জানান, মঙ্গলবার রাতে গোলাগুলির শব্দ পেয়েছি। আজ বুধবার সেনাবাহিনীর একটি টহল দলের সঙ্গে আমিও ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। ওখানে নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না শুনেছি, ফিরে আসার পর বিস্তারিত জানাতে পারব।
লংগদু থানার তদন্ত ওসি মো. সানজিদ আহম্মেদ জানান, মঙ্গলবার রাতে গোলাগুলির সংবাদ পেয়েছি। তবে ঘটনাস্থল এতোই দুর্গমে যে রাতে আমাদের পক্ষে যাওয়া সম্ভব ছিল না। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল সেখানে যাচ্ছে। তারা ফিরে আসলে বিস্তারিত জানানো যাবে।
জেএন/কেকে