চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরে পাহাড় দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ বসতি উচ্ছেদে আরো কঠোর অবস্থানে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। সলিমপুরের সকল পয়েন্টের রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে মূল প্রবেশদ্বার একটি করে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।
মূল প্রবেশ পথ রাখা হয়েছে বায়েজিদ লিংক রোড সংলগ্ন এলাকায়। সেখানে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজও চলছে।
আজ বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এর উচ্চ চাপবিশিষ্ট চট্টগ্রাম রিং-মেইন গ্যাস পাইপলাইনের ওপর দিয়ে জঙ্গল সলিমপুরের ছিন্নমূল ও আলীনগর যাওয়ার বিকল্প পথগুলো বন্ধ করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম।
তৌহিদুল ইসলাম জানান, পাহাড়ে অবৈধ বসতি উচ্ছেদে বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে জঙ্গল সলিমপুরে প্রবেশের সব বিকল্প পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। চেক পোস্ট বসিয়ে একটিমাত্র পথ খোলা রাখা হয়েছে।
এই চেক পোস্টের মাধ্যমে সলিমপুর ও আলীনগর এলাকায় লাইসেন্সবিহীন সিএনজি অটোরিক্সা চলাচল নিয়ন্ত্রণ, নির্মাণ সামগ্রী ও গ্যাস সিলিন্ডার প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্ব এ চেকপোস্টে সার্বক্ষণিক দায়িত্বে থাকবে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা পুলিশ, র্যাব, আনসার সদস্য, ওয়াসা, সিটি করপোরেশন, সিডিএ, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিসহ সরকারি সকল দফতরের প্রতিনিধিরা।
চেক পোস্ট স্থাপনের সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন সীতাকুণ্ডের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল আলম। তিনি জানায়, বায়েজিদ লিংক রোড সংলগ্ন কর্ণফুলী গ্যাস পাইপ লাইনের নিরাপত্তার স্বার্থে এ প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে।
তাছাড়া চেকপোস্ট ও সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ফলে এ অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহজ হবে বলে মনে করেন জেলা প্রশাসনের এ কর্মকর্তা।
জেএন/পিআর