নেশাগ্রস্ত মাতাল ব্যক্তির যেমন কোনো হিতাহিত জ্ঞান থাকে না, ঠিক তেমনিভাবে ক্ষমতার নেশায় মত্ত সরকার ও তার পোষ্য পুলিশ বাহিনী ‘গায়েবি বটিকা’ খেয়ে বেসামাল হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর।
সোমবার (২২ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় কাজীর দেউড়ির নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, উচ্চ আদালত যে মামলায় আমীর খসরুকে জামিন দিয়েছেন সে মামলায় নিম্ন আদালত তাকে জেলে পাঠিয়েছেন। সরকারের নির্দেশে এভাবে বিএনপিকে নেতৃত্বশুন্য করার পাঁয়তারা চলছে।
তিনি আরো বলেন, বিনা ভোটে অনির্বাচিত সরকার আবারো ক্ষমতায় যাওয়ার নেশায় মাতাল হয়ে গেছে। আগে বিএনপিকে সভা-সমাবেশের অনুমতি দিত না। এখন নব-সংঘঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে সমাবেশ করার অনুমতি দিচ্ছে না। এ ঘটনা থেকে সহজে অনুমান করা যায়, বিশ^ব্যাপী কুখ্যাত ফ্যাসিস্ট হিটলার ও মুসোওলিনির প্রেতাত্মা বর্তমান সরকার তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার কোনো দল বা ব্যক্তিকে সহ্য করতে পারছে না। তারা নির্বাচনকালীন সময়ে সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতাদের অনিয়ম দুর্নীতি যাতে প্রকাশ ও প্রচার না পায় সে ব্যবস্থা হিসেবে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে আইন করেছে। এখন নতুনভাবে করা হচ্ছে সম্প্রচার নীতিমালা আইন। এরমধ্যে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা চূড়ান্ত করা হয়েছে।
বক্কর বলেন, পুলিশ প্রতিদিন চট্টগ্রামসহ সারাদেশে একের পর এক মামলা দায়ের করছে। গত কয়েকদিনে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় কয়েকশ’ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে প্রায় অর্ধশত মামলা দায়ের করেছে। সরকারের ‘গায়েবি বটিকা’ সেবনকারী পুলিশ আজকাল বোমা ও বজ্রপাতের শব্দের পার্থক্য বোঝে না। তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে, গত ১৩ অক্টোবর শনিবার চট্টগ্রামে রাতভর বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হয়। আর সেই বজ্রপাতের শব্দকে বোমা বিস্ফোরণ উল্লেখ করে বায়েজিদ বোস্তামি থানায় বিএনপি’র প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চারটি মামলা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র সিনিয়র সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল আলম, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, কামরুল ইসলাম, মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী মনোয়ারা বেগম মনি প্রমুখ।
জয়নিউজ/এফও/ফারুক/হিমেল/আরসি