চট্টগ্রাম মহানগরে চলমান ৫-১১ বছর বয়সী (১২ বছরের কম বয়সী) শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা প্রদান কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মোঃ সাখাওয়াত উল্ল্যাহ।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সকাল ১১টা থেকে স্বাস্থ্য পরিচালকের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা নগরীর চিটাগাং গ্রামার স্কুলসহ বিভিন্ন স্কুলে টিকাদান কার্যক্রম তদারকি করেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াজেদ চৌধুরী অভি, এমওডিসি ডা. মোহাম্মদ নুরুল হায়দার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এসআইএমও ডা. এফ এম জাহিদুল ইসলাম, জেলা স্বাস্থ্য তত্ত¡াবধায়ক সুজন বড়ুয়া, হেলথ এডুকেটর কাজী মাসুদ, পিএটু ডিরেক্টর শাহাদাত হোসেন প্রমূখ।
জেলা সিভিল সার্জন সূত্র জানায়, মহানগরী এলাকায় ৫-১১ বছর বয়সী ৩ লাখ ৪৭ হাজার ১৯২ জন শিক্ষার্থীকে ফাইজারের টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তন্মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩৫ জন ও ছাত্রী ১ লাখ ৮২ হাজার ২৫৭ জন। মহানগরীর বাইরে জেলার ১৫ উপজেলায় ৫-১১ বছর বয়সী ৬ লাখ ৯৮ হাজার ১৩২ জন শিক্ষার্থীকে ফাইজারের টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তন্মধ্যে ছাত্র ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৮৯৭ জন ও ছাত্রী ৩ লাখ ৫৪ হাজার ১৯৭ জন।
উপজেলা পর্যায়ে অচিরেই এ কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানান সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী। নগরী ও জেলায় ৫-১১ বছর বয়সী সকল শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা প্রদান কার্যক্রমে কারিগরি সহযোগিতাসহ যাবতীয় প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে সিভিল সার্জন কার্যালয়।
ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মোঃ সাখাওয়াত উল্ল্যাহ বলেন, শুধু শিক্ষার্থী নয়, সবাইকে সুরক্ষিত থাকতে হবে। ভ্যাকসিন দেয়া থাকলে করোনার ঝুঁকি অনেকটা কম। করোনা থেকে রক্ষা পেতে হলে পর্যায়ক্রমে শিক্ষার্থীরাসহ সবাইকে কোভিড ভ্যাকসিনের আওতায় আসতে হবে। নিজে ভ্যাকসিন নিয়ে অন্যকে ভ্যাকসিন নিতে উৎসাহিত করার পাশাপাশি মাস্ক পরিধান করতে হবে।
জেএন/কেকে