দেশের স্বাধীনতার জন্য ফুটবলাররাও লড়েছিলেন। সেই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যরা একে একে পরপারে পাড়ি দিচ্ছেন। আজ রোববার ভোরে দেশ হারাল আরো এক স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্য শেখ আবদুল হাকিমকে।
যশোরেই থাকতেন শেখ আব্দুল হাকিম। বেশ কয়েক বছর যাবত বার্ধক্য ও নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন। আজ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম এই সদস্যদের শেষ জীবন কেটেছে অনেক কষ্টে। ব্রেন স্ট্রোকের পর একটি চোখ প্রায় নষ্ট হয়েছিল। গত কয়েক মাস কথা বলতে পারতেন না এবং নল দিয়ে খাওয়া দাওয়া করাতে হতো। পারিবারিক জীবনে তার স্ত্রী, ১ ছেলে ও ৩ মেয়ে।
সাবেক জাতীয় ফুটবলার ও দেশের অন্যতম সেরা হকি কোচ কাওসার আলী যশোরেই বসবাস করেন। শেখ আব্দুল হাকিমের খোঁজ রাখতেন সব সময়। অগ্রজের প্রয়াণে তিনি বলেন, ‘হাকিম ভাই যশোরের ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব। আমরা সবাই ব্যথিত। ঢাকা থেকে তার মরদেহ যশোরের পথে। বাদ আসর জানাজা হওয়ার কথা।’
হাকিম স্বাধীনতার আগে দিলকুশা স্পোর্টিংয়ে খেলা শুরু করেন। পাকিস্তান যুব দলে ডাক পেয়েছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলে যোগ দেন। ১৯৭৩ সালে মারদেকা কাপে প্রথম জাতীয় দলের সদস্য ছিলেন তিনি। ৭৫ সালের মারদেকা কাপের দলেও ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি ওয়াপদা, ওয়ারীতে খেলতেন।
জেএন/কেকে