ডিওএইচএসে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ও ফ্যাসিলিটিজ বিভাগের প্রধান আকরাম খানের রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএসে বাসার গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। নিহতের নাম সাহিদা আক্তার (২৫)। তার বাড়ি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে। তিনি ১৩ বছর ধরে আকরাম খানের বাসায় কর্মরত ছিলেন।
রোববার (২৮ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে যায় কাফরুল থানা পুলিশ।
পুলিশ বলছে, ঘটনার সময় আকরাম খানের বাসায় কেউ ছিলেন না। তার স্ত্রী ও মেয়ে বাসায় ফিরলে সাহিদাকে না পেয়ে শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। এক পর্যায়ে বাসার পাশে দুই ভবনের মাঝে সাহিদাকে পড়ে থাকতে দেখেন আকরাম খানের স্ত্রী। তখনই পুলিশকে খবর দেয়া হয়। এরপর কাফরুল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার করে সাহিদার মরদেহ
রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কাফরুল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হাসিব।
তিনি বলেন, মহাখালী ডিওএইচএসের ৩ নম্বর রোডের ১৫৭ নম্বর বাসার কাছ থেকে আকরাম খানের বাসার কাজের মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করা হয়। মরদেহ সুরতহালের জন্য থানা থেকে নারী পুলিশ সদস্য রওনা করেছেন। সুরতহালের পর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।
মরদেহটি আকরাম খানের বাসার কাজের মেয়ে কি না, জানতে চাইলে এসআই মো. হাসিব বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে আকরাম খানও আছেন। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে।’
তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে নাকি অন্য কোনো কারণ আছে, তা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরে জানা যাবে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
এর আগে গত ২০ আগস্ট রাজধানীর গুলশানে বিসিবির আরেক কর্মকর্তা জালাল ইউনুসের ফ্ল্যাট থেকে নুন নাহার নামে এক গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তার বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায়। বাবার নাম মোতালেব হোসেন। তিনি বিবাহিতা ছিলেন। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়।
ওইদিন গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ওয়ালিয়ার জানিয়েছিলেন, গুলশান-২-এর ৮১ নম্বর রোডের ৮ নম্বর বাড়ির একটি ফ্ল্যাট থেকে ওই গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারা জানতে পেরেছেন, ফ্ল্যাটটি বিসিবির একজন কর্মকর্তার।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হোসেন জানিয়েছিলেন, ‘এটি স্বাভাবিক মৃত্যু মনে হলেও এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।’
জেএন/কেকে