চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় প্রথমবারের মতো চালু করা হয়েছে ই-টিকিটিং। এখন থেকে ঘরে বসেই কাটা যাবে টিকিট (www.chittagongzoo.gov.bd)।
সোমবার (২৯ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ সার্ভিসের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা নির্বাহী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।
প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ৩৩ বছর পর চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য চালু হয়েছে প্রভিডেন্ট ফান্ডও। এছাড়া চিড়িয়াখানার প্রাণী পরিবহন, খাদ্য পরিবহন ও বিবিধ কাজের জন্য কেনা হয়েছে একটি পিকআপ গাড়ি। আগামী দুই মাসের মধ্যে চিড়িয়াখানায় আসছে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীও।
উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন জেলা প্রশাসক ও বর্তমান সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী আব্দুল মান্নানের উদ্যোগে ও জেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় এর মূল উদ্দেশ্য ছিল চট্টগ্রাম জেলার মানুষের জন্য একটি চিড়িয়াখানা তৈরি তথা বিনোদনের ব্যবস্থা করা।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় ও নিবিড় তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রাম জেলার একমাত্র বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, গবেষণা, শিক্ষা ও বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। চিড়িয়াখানায় বিভিন্ন প্রকার অবকাঠামোগত সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে এবং নতুন নতুন প্রাণি ক্রয় ও সংগ্রহের মাধ্যমে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার পর্যটন সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে ব্যাপক হারে চিড়িয়াখানায় দর্শক সমাগম হচ্ছে। সরকারি অনুদান কিংবা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অনুদান ছাড়া শুধুমাত্র টিকেট বিক্রির টাকা দিয়ে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা সকল অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ, পশু-পাখির খাদ্য ব্যয়, ওষুধ ও পরিচর্যা ব্যয়, প্রাণি ক্রয় ও সংগ্রহ বাবদ ব্যয় এবং কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন দেওয়া হচ্ছে।
জেএন/কেকে