সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া আলোচিত ও ব্যবসা সফল সিনেমা ‘হাওয়া’র বিরুদ্ধে বনবিভাগ যে মামলা করা হয়েছিল, সেটি প্রত্যাহারের ব্যবস্থা হয়েছে। একই সঙ্গে মামলাকারী বন কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে ৩৪ মিন্টো রোডের বাসভবনে ফিল্ম অ্যালায়েন্সের সঙ্গে হাওয়া সিনেমার মামলা প্রত্যাহার ও সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বেশকয়েকটি সিনেমা বেশ সাড়া জাগিয়েছে। আমাদের ছেলেবেলায়, কিংবা ছাত্রজীবনে সিনেমা হলে টিকিট কাটার জন্য লাইন ধরতে হতো। কিন্তু গত কয়েকবছরে সিনেমার প্রতি মানুষের আগ্রহ কমে যাওয়ায় এ ধরনের দৃশ্য তেমন একটা চোখে পড়তো না। সম্প্রতি কয়েকটি সিনেমা আবার দর্শকদের ফিরিয়ে এনেছে। সে সিনেমারগুলোর মধ্যে হাওয়া অন্যতম।
‘হাওয়া সিনেমার পরিচালকের বিরুদ্ধে একটি মামলা করার কথা শুনে আমি খুব আশ্চর্য হয়েছি। আমি তখন দেশের বাইরে ছিলাম। আমার ছেলে-মেয়েরাও টিকিট কেটে এ সিনেমা দেখে এসেছে। আগস্ট মাস বলে আমি দেখতে যাইনি। অনেকে আমাকে সিনেমাটি দেখতে বলেছেন। আগস্টের পর আমি যেকয়টি সিনেমা ভালো দর্শক টেনেছে সেগুলো দেখতে যাবো।
মন্ত্রী বলেন, দেশে এসে ঘটনাটি জানার পরপরই আমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। মামলা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যে কর্মকর্তা মামলা করেছেন তাকে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় থেকে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠানো হয়েছে। এখানে আইনের ব্যত্যয় ঘটলে পরিচালককে নোটিশ দেওয়া যেত। সরাসরি কোর্টে গিয়ে মামলা করা উচিৎ হয়নি।
তিনি বলেন, একটি দেশ বিনির্মাণে শিল্পীদের সঙ্গে সঙ্গে চলচ্চিত্রও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। অনেক কালজয়ী চলচ্চিত্র আমাদের দেশে নির্মিত হয়েছে যেগুলো সমাজকে পথ দেখিয়েছে, স্বাধীকার আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও স্বাধীনতার পরে দেশ গঠনে অনেক চলচ্চিত্র তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
সংস্কৃতি অঙ্গনের ওপর সবসময়ই একটি কালো থাবা ছিল। একটি মহল এ সংস্কৃতিকে অপছন্দ করে, সংস্কৃতিকে ইসলামীকরণ করতে চায়। নানা কারণে আমাদের চলচ্চিত্র খারাপ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের চলচ্চিত্র যাতে বিশ্ব অঙ্গনে জায়গা করে নিতে পারে সেজন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, শিল্পীদের মধ্যে কোনো ভাগ থাকতে পারে না, তবে শিল্পীদের নানান সমিতি আছে। ঢাকা শহরে সাংবাদিকদের ৪৪টি সমিতি আছে, তাই বলে কি সাংবাদিকরা ভাগ হয়ে গেছেন? ২০ হলে অনুদানের সিনেমা চালাতে হবে সে নিয়মটি গত বছর থেকে চালু করা হয়েছে। যে সিনেমাগুলো আগে অনুদান পেয়েছে সেগুলোর ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নয়। গত বছর যারা অনুদান পেয়েছেন ও এ বছর যারা অনুদান পাবেন তাদের জন্য সেটি প্রযোজ্য।
জেএন/কেকে