বই হচ্ছে অতীত আর বর্তমানের মধ্যে বেঁধে দেয়া সাঁকো। ভালো খাদ্যবস্তু পেট ভরে কিন্তু ভালো বই মানুষের আত্মাকে পরিতৃপ্ত করে। বই হচ্ছে মস্তিষ্কের সন্তান। বই পাঠ মানব ভাবনাকে করে পরিশুদ্ধ ও ব্যক্তিত্বকে করে সুস্পষ্ট। বই পড়া বা পাঠাভ্যাসের এই প্রচলন ছড়িয়ে দিতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের(সিএমপি) অন্যন্য উদ্যোগ লাইব্রেরী স্থাপন।
থানাকে নগরবাসীর আশ্রয়স্থল হিসেবে গড়ে তুলতে এরই মধ্যে নগরীর প্রতিটি থানায় স্থাপন করা হয়েছে লাইব্রেরী। থানায় আগত সেবাপ্রার্থীরা তাদের অপেক্ষমান সময়ে হাতে তুলে দেখেন এসব বই। গল্প, উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ, ইতিহাস কিংবা দর্শন; দেশি বিদেশি বিভিন্ন ধরনের লেখকের বইয়ের সম্ভারে সাজানো হয়েছে এক একটি লাইব্রেরী। পাশেই করা হয়েছে বসে পড়ার জন্য সীমিত পরিসরে চেয়ার টেবিলের ব্যবস্থা। থানায় বিভিন্ন প্রয়োজনে আসা ব্যক্তি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরাই নন, এসব বই পড়ার সুযোগ রয়েছে এলাকাবাসীরও। গ্রন্থাগারে বসে বই পড়ার পাশাপাশি কেউ চাইলে বাড়িতে নিয়েও পড়তে পারবেন।
সময়ের সাথে বৃদ্ধি করা হচ্ছে এসব লাইব্রেরিতে বইয়ের পরিমাণ। কয়েক মাস পর পরই কেনা হয় নতুন নতুন বই। পুলিশ সদস্যদের মধ্যে যাঁদের বই পড়ার অভ্যাস রয়েছে, তাঁরা চাইলে বাসায় নিয়ে বই পড়তে পারবেন। গ্রন্থাগারে স্থান পেয়েছে আইন সংশ্লিষ্ট বই সমূহও। আইনের কোনো বিষয় তাৎক্ষণিকভাবে জানতেও এসব বইয়ের বেশ সহায়ক।
থানায় লাইব্রেরীতে স্থান করে নেওয়া এসব বই থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের মন মানসিকতায় ভিন্ন ধরনের চিন্তা ভাবনার খোড়াক জোগাবে। পুলিশিং এর কঠোর বলয় থেকে সাময়িক সময়ের জন্য পাঠককে এনে দিবে মুক্তি। পেশাদারিত্বের পাশাপাশি মননশীলতার সুবোধ চর্চা পুলিশ সদস্যদের আরও মানবিক করে গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।
জেএন/এফও/কেকে