দীর্ঘদিন ধরে মোবাইলে পুলিশ,র্যাব,বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা পরিচয়ে সাধারণ লোকজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন ফটিকছড়ির ভক্তপুরের আব্দুল মালেকের সন্তান বেলাল হোসেন (৩১)। প্রতারণার শিকার খোরশেদ আলমের অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব বুধবার রাতে নাজিরহাট বাজার থেকে তাকে আটক করা হয়।
র্যাব জানায়, ১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় মোহাম্মদ খোরশেদুল আলমের ফোনে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি নিজেকে এসআই পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ও মামলার ভয় দেখান। পরে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। খোরশেদ সরল বিশ্বাসে ওই প্রতারকের দেয়া মোবাইল নাম্বারে ২০ হাজার ৪০০টাকা পাঠান। একই ভাবে ১৭ আগষ্ট থানার ওসি সেজে পূনরায় খোরশেদ আলমের কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে ৩ হাজার টাকা বিকাশে নিয়ে নেয়।
র্যাব এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রতারক বেলাল সার্কেল এএসপি সেজে একই কায়দায় খোরশেদের কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে সাড়ে ২৯ হাজার টাকা বিকাশে নিয়ে নেয়। এছাড়া প্রতারক বেলাল এসপি সেজে খোরশেদেরে বিভিন্ন বিষয়ে খোজ খবর নেন। পরে একই ব্যক্তি র্যাব পরিচয়ে চাঁদা দাবি করলে খোরশেদ বিষয়টি র্যাবের উধ্বতন কর্মকর্তাদের জানান।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মোঃ নুরুল আবছার বলেন, প্রতারক বেলাল ২০২১ সালের মে মাস হতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লোকের কাছে আইনশৃংখলা রক্ষা বাহিনী,র্যাব বাহিনীর সদস্য হিসাবে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে একটা প্রাইভেটকার ভাড়া করে ঘুরে বেড়াত। তিনি বিভিন্ন কাজ করে দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন অজুহাতে লোজনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিত।
তিনি জানান, ২০২১ সালের আগে বেলালের মুরগির ফার্ম ছিল। ২০২১ সালের মে মাসে সে সর্বপ্রথম প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করে। সর্বপ্রথম সে তার বন্ধুবান্ধব এবং পরিচিতজনকে বিভিন্ন পুলিশ অফিসার বা র্যাবের পরিচয় দিয়ে ভয় দেখাতো। তার দেওয়া ভাষ্যমতে, গত দেড় বছরে প্রতারনাই ছিল তার একমাত্র আয়ের উৎস এবং পেশা।
জেএন/এফও/কেকে