চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন যাবত পড়ে থাকা ৩৮৫ কনটেইনারে নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংসের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
১১ সেপ্টেম্বর থেকে এসব পণ্য ধ্বংসের কাজ শুরু হবে। এজন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং স্টেশনের পাশের একটি খালি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। জায়গাটি চট্টগ্রামের আউটার রিং রোড সংলগ্ন হালিশহরের আনন্দবাজারে অবস্থিত।
পরিবেশ অধিদপ্তর থেকেও অনুমোদন মিলেছে এ বিষয়ে। এর আগেও একই জায়গায় পণ্য ধ্বংস করেছিল চট্টগ্রাম কাস্টমস।
কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানায়, ৩৪৫ কন্টেইনার পণ্য খালি করতে সময় লাগতে পারে ১৫-২০ দিন। কাজটি শেষ হলে বন্দরে কমপক্ষে সাড়ে ৩শ কনটেইনার রাখার জায়গা খালি হবে।
এ নিয়ে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে পণ্য ধ্বংস কমিটির সভা হয়। যাতে উপস্থিত ছিলেন কাস্টমস, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, বিজিবি ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
কাস্টমস সূত্র জানায়, প্রায় পাঁচ একর জায়গায় ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ক্রেন, স্কেভেটর, ট্রেলার, ট্রাকসহ প্রয়োজনীয় যানবাহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই জায়গা খুঁড়ে পচে যাওয়া পণ্য দেওয়া হবে মাটি চাপা। ফলে কোনো প্রকার দুর্গন্ধ ছড়ানোর সুযোগ থাকবে না। জায়গাটি লোকালয় থেকে দূরে হওয়ায় সমস্যাও হবে না মানুষের।
এর আগে একই এলাকার অন্য একটি জায়গায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ১৯৪ কনটেইনারের চার হাজার ৮০৭ টন ব্যবহার অযোগ্য পণ্য ধ্বংস করেছিল।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার ওমর মবিন বলেন, আরও কয়েক মাস আগে থেকে নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংসের কার্যক্রমটি শুরু করা হয়। এ ধরনের মেয়াদোত্তীর্ণ পচা পণ্য ধ্বংসের কাজ করতে সমন্বিত চেষ্টা লাগে। যেখানে কাস্টমসসহ অনেকগুলো সরকারি দপ্তরের সহযোগিতা লাগে। নিয়ম অনুযায়ী পরিবেশ অধিদপ্তর ও সিটি করপোরেশনকে সঙ্গে নিয়ে এ কাজ করতে হয়।
তিনি আরও বলেন, পণ্য ধ্বংসের জন্য চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিজস্ব কোনো জায়গা নেই। তাই প্রতিবার পণ্য ধ্বংসের আগে জায়গা নির্বাচন করতে হয়।
জেএন/কেকে