চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্টে প্রায় ৪৬০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য বিদেশে রপ্তানি হয়েছে। এর ফলে রপ্তানির ক্ষেত্রে উচ্চ প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৬ দশমিক ১৮ শতাংশ।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। আগস্ট মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৩০ কোটি ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রপ্তানি আয় ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ বেশি হয়েছে।
এদিকে, বরাবরের মত আগস্ট মাসেও সামগ্রিক রপ্তানিতে পোশাকের আধিক্য বজায় রয়েছে। আগস্টে ৩৭০ কোটি ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৬ দশমিক ০৪ শতাংশ বেশি।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) ৮৫৯ দশমিক ১৮ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এ সময়ে রপ্তানি ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৫ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি রপ্তানি হয়েছে।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার ফলে সৃষ্ট প্রভাব ইতোমধ্যে রপ্তানিকে প্রভাবিত করতে শুরু করেছে। এর ফলে গত জুন থেকে পোশাক রপ্তানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। তাই আগস্ট মাসের এই উচ্চ প্রবৃদ্ধির পরেও আমরা সতর্ক ও সজাগ হচ্ছি।
জুলাই-আগস্ট সময়ে ২০ কোটি ৭২ লাখ ডলারের কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এছাড়া, মৎস্য ৮ কোটি ৭৯ লাখ ডলার, প্লাস্টিক পণ্য ২ কোটি ডলার, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ১৭ কোটি ৪৭ লাখ ডলার, পাট ১২ কোটি ৭৬ লাখ ডলার এবং ২ কোটি ২৭ লাখ ডলারের বিশেষায়িত পোশাক পণ্য রপ্তানি হয়েছে।
জেএন/কেকে