লিজ ট্রাস অথবা ঋষি সুনাক, এই দুজনের যে কোনো একজনের নাম আজ দিনের শেষে যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হিসেবে ঘোষণা করা হবে, একই সাথে নির্ধারণ হবে কে হতে যাচ্ছেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের উত্তরসূরী।
মঙ্গলবার বৃটিশ রানী এলিজাবেথের আনুষ্ঠানিক নিয়োগের আগে আজ সোমবার যুক্তরাজ্য সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচনে বিজয়ীর নাম ঘোষণা হবে। খবর বিবিসি।
নতুন প্রধানমন্ত্রী উত্তরাধিকার সূত্রে যুক্তরাজ্যের ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উচ্চ মুদ্রাস্ফিীতি ও জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে কাজ শুরু করবেন। তবে বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাসকেই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এগিয়ে রাখছেন নির্বাচনে অংশ নেওয়া পার্টির সদস্যরা আর দায়িত্ব নেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই তিনি অর্থনৈতিক সুরক্ষা নীতি গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন।
পাশাপাশি তাঁর পরিকল্পনায় রয়েছে জরুরী বাজেটের মাধ্যমে ৩০ বিলিয়ন পাউন্ডের কর ছাড়ের প্রস্তাব। অন্যদিকে তাঁর প্রতিপক্ষ সাবেক চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক মনে করছেন, তিনি ভোটের দৌড়ে হেরে গেছেন আর এই মুহূর্তে তাঁর কাজ হচ্ছে একটি কনজারভেটিভ সরকারকে সমর্থন দেওয়া।
গতকাল রোববার লিজ ট্রাস বিবিসির সঙ্গে এক আলোচনায় তারঁ আর্থিক পরিকল্পনার টার্গেট শুধুমাত্র ক্ষতিগ্রস্তরাই হবেন নাকি তা সার্বজনীন হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত না বলে জানান দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁর বিশদ পরিকল্পনা কার্যকর করতে সময় লাগবে।
এদিকে অন্যান্য দল লেবার পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেট এবং এসএনপি সরকারের প্রতি জ্বালানি তেলের মূল্য সহনীয় করতে মাল্টি-বিলিয়ন পাউন্ডের ভর্তুকির প্রস্তাব দিয়েছে। তবে লিজ ট্রাস জ্বালানি তেলের মূল্য বেঁধে দেওয়ার এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেননি বরং বলেছেন যুক্তরাজ্যের অভ্যন্তরীণ জ্বালানির উৎসকে কাজে লাগাতে আরো অনেক কিছু করা প্রয়োজন।
এদিকে বরিস জনসনের টালমাটাল তিন বছরের ক্ষমতার মেয়াদ আজই শেষ হচ্ছে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচনে সাত সপ্তাহের প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে, যেখানে প্রার্থীরা একে-অন্যের বিরুদ্ধে আক্রমণ-প্রতিআক্রমণের মাধ্যমে পুরো প্রক্রিয়াটিকেই জমজমাট করে তুলেছিলেন।
২০১৯ সালের নির্বাচনে একক সংখ্যাগরীষ্ঠতা অর্জনের পর মাত্র আড়াই বছরের মাথায় বেশ কিছু কেলেঙ্কারী ও মন্ত্রিসভার বেশিরভাগ সদস্যদের বিদ্রোহের কারণে গত জুলাইয়ে ক্ষমতা ছাড়ার ঘোষণা দেন বরিস জনসন।
জেএন/কেকে