তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কালজয়ী গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’ এবং এমন আরো গান আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের ও মুক্তিকামী মানুষকে প্রেরণা দিয়েছে। তার সৃষ্টিকর্ম চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে সংরক্ষিত থাকবে।
আজ দুপুরে মন্ত্রী রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) প্রাঙ্গনে সদ্যপ্রয়াত বরেণ্য গীতিকার-চলচ্চিত্রকার গাজী মাজহারুল আনোয়ারের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন ও প্রার্থনা শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের কিংবদন্তী গীতিকার, সুরকার, চলচ্চিত্র পরিচালক-প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ার প্রায় ২০ হাজার গান রচনা করেছেন। বিবিসি’র জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি বাংলা গানের মধ্যে তার তিনটি গান রয়েছে। সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার স্বাধীনতা পদক ও একুশে পদক, ৬ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ তার অর্জিত পুরস্কারের সংখ্যা নজিরবিহীন।
আকস্মিকভাবে আমাদের ছেড়ে চলে গেলেও মাজহারুল আনোয়ার তার কাজের মাধ্যমে যুগ যুগ ধরে তিনি বেঁচে থাকবেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি যদি আরো বেঁচে থাকতেন, আমাদের চলচ্চিত্র, গান তথা সংস্কৃতি অঙ্গণকে আরো সমৃদ্ধ করে যেতে পারতেন। তার মৃত্যু আমাদের পুরো জাতির জন্য, সংস্কৃতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। আমরা তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি।
মাজহারুল আনোয়ারের কীর্তি সংরক্ষণের বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, এফডিসির নতুন ভবন হচ্ছে। দেশের সেরা সুরকার, গীতিকার, চলচ্চিত্রকারদের কর্মগুলো সেখানে সংরক্ষিত থাকবে। এজন্য একটি জায়গা নির্ধারণের বিষয়েও আমরা ইতোমধ্যে আলোচনা করেছি।’
বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজার, শাহ আলম কিরণ, প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির নেতা খোরশেদ আলম খসরু, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা ও নেতৃবৃন্দের মধ্যে অভিনয়শিল্পী ও পরিচালক রোজিনা, দিলারা, অরুণা বিশ্বাস ও মীযান রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন।
জেএন/কেকে