মাদকের টাকার জন্য মা ফাতেমা বেগমকে (৫০) মারধর করেন ছেলে নূর হোসেন শাকিল (২৫)। এতে মা অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এর জেরে শাকিলকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ছোট ভাই এমাম হোসেন (২২)। এরপর বাবা বশির হোসেন ওরফে বাবুল মিয়া (৬০) বাড়ির পার্শ্ববর্তী পুকুরপাড়ে ছেলের মরদেহ মাটিচাপা দেন।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।
পুলিশ সুপার বলেন, স্থানীয় দুই সংবাদকর্মীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ নিহতের বাবা বাবুল মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি পুলিশকে জানান- তার ছেলে ঘর থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছেন। আমাদের কাছে বিষয়টি সন্দেহ হলে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পাই। তারপর মাটি খুঁড়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি।
তিনি বলেন, গত ৪ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে ঘটনাটি বেগমগঞ্জ উপজেলার ৯নং মিরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের লালপুর এলাকার আব্দুল করিম হাজী বাড়িতে ঘটেছে। নিহত শাকিল পরিবারের সদস্যদের ওপর প্রায়ই নানা কারণে অত্যাচার করতেন। এসব ঘটনার জের ধরে পরিবারে কলহ দেখা দেয়। একপর্যায়ে ওই কলহের জের ধরে পরিবারের সদস্যরা তাকে হত্যা করে মরদেহ মাটিচাপা দিয়ে রাখেন। নিহত শাকিলের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মারামারি ও মাদকের দুটি মামলা রয়েছে।
পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, আমরা শাকিলের বাবা ও ভাইকে গ্রেপ্তার করেছি। তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে নোয়াখালীর সহকারী পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) নাজমুল হাসান রাজিব, বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জায়েদুল হক রনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জেএন/কেকে