চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক এইচ এম এ আসিফ চৌধুরী লিমনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন এক তরুণী।
বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-৪ এর বিচারক মো. জামিউল হায়দারের আদালতে মামলাটি করেন ওই তরুণী। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. আব্বাস।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারী ফেনীর নিজ বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে থাকেন। সমাজসেবামূলক সংগঠন ‘লায়ন ক্লাবে’ যুক্ত থাকার সূত্র ধরে ছাত্রদল নেতা আসিফ চৌধুরীর সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার পরিচয় হয়।
২০২০ সালে রমজানের পর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর থেকেই অভিযুক্ত আসিফ ওই তরুণীকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন।
এরই মধ্যে তরুণীর মাকেও ফোন করতেন আসিফ। মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিতেন। পাশাপাশি নিজের মায়ের সঙ্গেও মোবাইলে তরুণীকে কথা বলিয়ে দিতেন।
এ অবস্থায় গত ৩ সেপ্টেম্বর মায়ের সঙ্গে দেখা করানোর কথা বলে তরুণীকে চট্টগ্রাম আসতে বলেন আসিফ। পরে চট্টগ্রাম শহরে এলে তরুণীকে অক্সিজেন নয়াহাট এলাকায় এক রাজনৈতিক বন্ধুর ব্যাচেলর বাসায় নিয়ে যান। সেখানে ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করেন আসিফ।
এ সময় তরুণী চিৎকার করলে আসিফ পালিয়ে যান। এ ঘটনায় তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করান স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় বায়েজিদ থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে তরুণীকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয় পুলিশ। তাই বুধবার তিনি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-৪ এ মামলাটি করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা এইচ এম এ আসিফ চৌধুরী লিমন বলেন, ‘গত চার বছরে তার সাথে আমার কোনো দেখা সাক্ষাৎ নেই। পুরো বিষয়টি মিথ্যা। মামলাটি আমাকে হেনস্থা করার জন্য আমারই দলের কিছু মানুষের প্ররোচনায় করেছে সে। আমি মূলত রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।’
লিমন জানান, বেশ কয়েক মাস আগে তাকে একটি আইনি নোটিশও পাঠিয়েছিলেন অভিযোগ দেয়া তরুণী। পরে সেটা আবার তুলেও নিয়েছিলেন।
জেএন/কেকে