দেশের স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৩৬৪ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। প্রথম আট মাসে গড়ে ৪৫ দশমিক ৫ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।
শুক্রবার সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশনের জরিপের এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রেমঘটিত কারণে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্কুলশিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার বেশি। আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে ১৯৪ জনই স্কুলশিক্ষার্থী।
আঁচল ফাউন্ডেশনের এক সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে। বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষ্যে শুক্রবার ভার্চুয়ালি এক আলোচনাসভায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। ১৫০ জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার তথ্য থেকে এ সমীক্ষা চালানো হয় বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
সমীক্ষায় বলা হয়, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৩৬৪ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। যার ১৯৪ জনই স্কুলশিক্ষার্থী। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৬ জন আত্মহত্যা করেছেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ৫০টি। আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে ৪৪ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীও আছেন।
আত্মহত্যা প্রবণতা বেশি পাওয়া গেছে ১৪-১৬ বছর বয়সিদের মধ্যে। এ বয়সি ১৬০ জন আত্মহত্যা করেছে। এমনকি সাত বছরের এক শিশুও আত্মহত্যা করেছে বলেও জানানো হয়।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, নারায়ণগঞ্জের এডিসি (শিক্ষা ও আইসিটি ডিভিশন) আজিজুল হক মামুন এবং আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানসেন রোজ উপস্থিত ছিলেন।
জেএন/কেকে