চট্টগ্রামে পৃথক অভিযানে দুই রোহিঙ্গাসহ তিন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এসময় তাদের কাছ থেকে চার হাজার ২৪০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে ভোর পর্যন্ত নগরীর শাহ আমানত সেতু টোল প্লাজা ও চাক্তাই গোলচত্বর অংশে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- কক্সবাজার জেলার উখিয়া বালুখালী শরণার্থী ক্যাম্পের আবদুর রশিদের ছেলে মো. কাইছার ওরফে ইউনুছ (১৯), একই ক্যাম্পের মৃত মোহাম্মদ আলমের ছেলে মো. শফি আলম (২৭), টেকনাফের হোয়াইক্যাং ইউনিয়নের লম্বাবিল গ্রামের মো. আলমের ছেলে মো. কামাল হোসেন (২২)।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে নতুন ব্রিজ গোলচত্বর এলাকা থেকে শ্যামলী এন আর ট্রাভেলসের একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে ৯৯০ পিস ইয়াবাসহ মো. শফি আলমকে গ্রেফতার করা হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মেট্রো (দক্ষিণ) কোতোয়ালী সার্কেলের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ফাহিম রাজু বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে বাকলিয়া থানায় মামলা করেছেন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৪টার দিকে শাহ আমানত সেতু টোলপ্লাজা এলাকা থেকে মারসা পরিবহনের একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে এক হাজার ৮০০ পিস ইয়াবাসহ মো. কামাল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মেট্রো (দক্ষিণ) কোতোয়ালী সার্কেলের সহকারী উপ-পরিদশর্ক (এএসআই) সামসুদ্দিন বাদী হয়ে কর্ণফুলী থানায় তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করেন।
অন্যদিকে, শাহ আমানত সেতুর টোল প্লাজা এলাকায় মারসা পরিবহনের একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে এক হাজার ৪৫০ পিস ইয়াবাসহ মো. কাইছার ওরফে ইউনুছকে গ্রেফতার করা হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মেট্রো (উত্তর) চান্দগাঁও সার্কেলের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ছানাউল্লাহ মিয়া বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে কর্ণফুলী থানায় মামলা করেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রো কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সোমেন মন্ডল বলেন, নগরীর পৃথক তিন অভিযানে দুই রোহিঙ্গাসহ তিন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে চার হাজার ২৪০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক মামলা হয়েছে। তাদের শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জেএন/কেকে