তাদের বলেন, মাছ ধরতে না পারলে ডাকাতি করে মাছ নিয়ে আসতে হবে। আনছার মেম্বার ও তার দলের মূল্য উদ্দেশ্য ছিল অল্প পরিশ্রমে অধিক মুনাফা লাভ করা। এর জন্যই নিজের সন্তানকে ডাকাত সর্দার বানিয়ে বোট ডাকাতি করার জন্য সাগরে পাঠায়।
তারা দুইবারে ১৬টি বোট ডাকাতি করে। গত ২৭ আগষ্ট চট্টগ্রামের অন্তর্ভুক্ত সাগর এলাকায় ৯টি মাছ ধরার বোটে ডাকাতি সংঘটিত হলে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণভাবে গ্রহন করে তদন্ত শুরু করে।
গত শুক্রবার ও আজ শনিবার পর্যন্ত ২৪ ঘন্টা একটানাগভীর সমুদ্রে এবং বাঁশখালীতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান অস্ত্রসহ ১২ জলদস্যুকে আটক করে। র্যাবের দাবি, আটককৃতরা বঙ্গোপসাগরে ১৬টি জেলে-নৌকায় ডাকাতির ঘটনায় সরাসরি জড়িত। তারা এছাড়া বেশ কয়েকটি দস্যুতায় জড়িত ছিল।
আটটকৃতরা হলেন- আনোয়ার, লিয়াকত, মনির, আবুল খায়ের, নবীর হোসেন, নেজামউদ্দিন, হুমায়ুন, সাহেদ, সাদ্দাম, আতিক, এমরান ও আমানউল্লাহ। তাদের হেফাজত থেকে ১টি বোট, ৩টি ওয়ান শুটারগান, ১টি চাইনিজ কুড়াল, ১৬টি দা ও ছুরি, ১টি বাইনোকুলার, ২টি হ্যান্ড মাইক, ৭০ টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ জানান, ২টি চৌকষ আভিযানিক দল ও র্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার একটি আভিযানিক দলের সমন্বয়ে গভীর অভিযান চালিয়ে ১২ জন জলদস্যুকে আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা র্যাবকে জানায়, বেশি মাছের লোভের কারণে তারা ডাকাতিতে নামে।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার জানান, আটক আনোয়ার (আনছার মেম্বারের ছেলে, মূলহোতা) এর নামে ৩ টিসহ প্রত্যেকেরই বিরুদ্ধেই চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানায় জলদস্যূতা, সস্ত্রাসী, ডাকাতি, দুর্ধষ চাঁদাবাজী, হত্যাচেষ্টা এবং অপহরণসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
তিনি জানান,আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নগরের পতেঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জেএন/এফও/পিআর