২২ বছর পর ফেসবুক গ্রুপ ‘আমাদের ফেনী’ মাধ্যমে বাংলাদেশে নিজ পরিবারের সন্ধান পেলেন তাহরিম রিদা নামে এক পাকিস্তানি তরুণী। বৃহস্পতিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৫৭ মিনিটে ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে রিদা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দেন।
সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আসসালামু অলাইকুম সবাইকে। আমি এখানে আমার বাবার পরিবার খুঁজতে এসেছি। আমার বাবা ১৯৮৭ সালে পাকিস্তান এসে আমার মাকে বিয়ে করেছিলেন। ২০০৪ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি বাংলাদেশের ফেনী থেকে এসেছিলেন। তার নাম ছিল মুহাম্মদ কাসিম আজাদ। আমার দাদার নাম তফাজুল হক, যিনি সম্ভবত আমার বাবার শৈশবে মারা গিয়েছিলেন। আমি আমার বাবার পরিবার সম্পর্কে খুব বেশি বা প্রায় কিছুই জানি না।’
গ্রুপে চাচার একটি ছবি দিয়ে তিনি বলেন, আবু সাদিক আমার বাবার বড় ভাই। যদি কেউ এই পরিবার সম্পর্কে কিছু জানেন তবে আমার পরিবারের সঙ্গে দেখা করা যাবে। এটা আমার জন্য খুবই আনন্দের হবে যা আমি কখনো দেখিনি।
পোস্ট দেওয়ার ২৩ মিনিটের মধ্যে বাবার পরিবারের সঙ্গে তাহরিমের পরিচয় হয়। তার বাবার বাড়ি ফেনীর দাগনভূঁইয়ার ফাজিলের ঘাটে। পোস্ট দেওয়ার ২৩ মিনিটের মধ্যেই তাহরিমের ফুফু ও তার ছেলের সঙ্গে কথা হয়।
তাহরিমের দাবি, কলেজে বা বাইরে গেলে বাবার পরিচয় জানতে অনেকেই বিরক্ত করে। পিতৃপরিচয় না থাকায় অবহেলিত হতে হয়েছে ২২ বছর। পাকিস্তানে মাকে রেখে দেশে আসলে বাবা অসুস্থ হয়ে মারা যান। তারপর আর তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি।
আমাদের ফেনীর অ্যাডমিন ইমদাদুল হক জানান, তাহরিমের বাবা দেশে এসে তার মাকে চিঠি পাঠাতেন। চিঠিতে উল্লিখিত ঠিকানা সংগ্রহ করে তাহরিম ফেনী শব্দটি পায়। পরে গুগলে সার্চ করে জানতে পারে ফেনী একটি জেলা।পরবর্তীতে ফেনী সার্চ করে আমাদের ফেনী নামক গ্রুপটি পায়। এরপর যাবতীয় ডিটেইলসসহ ফেসবুকে ইংরেজিতে পোস্ট করেন। এরপর ট্রান্সলেশন করে বাংলায় পোস্ট দেন অ্যাডমিন প্যানেল। দাগনভূঁইয়ার ওসি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় সোশ্যাল এক্টিভিটিসদের মাধ্যমে তাহরিমের বাবার পরিবারের কাছে বার্তা পৌঁছে যায়।
পিতৃপরিচয় পেয়ে তাহরিম বলেন, ফেনীর মানুষকে কী বলে ধন্যবাদ দেবো তা বলার ভাষা আমার নেই। আমাকে যারা খুঁজে পেতে সহায়তা করেছে সবাইকে আল্লাহ নেক হায়াত দান করুক। খুব শিগগিরই আপনাদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
জেএন/কেকে