মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার এম. আমিরুল ইসলাম বলেছেন, আমরা অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়ে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করার পর নিজের সমাজের কথা ভুলে যায়। নিজেকে নিয়ে বেশি ভাবি। কিছু মানুষ আছেন যারা স্বল্প আয়ের মধ্যে থেকেও সমাজ, স্বজাতি ও স্বদেশের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে কর্তব্য পালন করেন। এবং সেটাই ধর্ম।
তিনি সোমবার (২২ অক্টোবর) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের আব্দুল খালেক মিলনায়তনে লোহাগাড়ার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সমাজসেবক চিত্তরঞ্জন দাশের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভা ও দরিদ্র-মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও রাজনীতিবিদ পঙ্কজ ভট্টাচার্য্য বলেন, এদেশে স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রয়াত চিত্তরঞ্জন দাশের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। তিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনকেও তিনি সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন।
চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল হালিম বলেন, অভিভাবকদের উচিত তার সন্তানকে প্রথমে একজন ভালো মানুষ হিসেবে তৈরি করা। এদেশে টাকার অভাবে যাদের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বিত্তবানরা একটু সচেতন হলে তার সমাধান সম্ভব।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হরিসাধন দেব বর্মনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চিত্তরঞ্জন দাশের একমাত্র সন্তান ও চিত্তরঞ্জন দাশ মেমোরিয়াল ট্রাস্টের প্রধান সমন্বয়ক অঞ্জন কুমার দাশ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লেখক বাদল সৈয়দ, শিপ্রা দাশ, আলী আকবর সিদ্দিকী, অধ্যাপক উৎপল দাশ, শিমুল দাশ, অস্মিতা দাশ, শ্যামল দে প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হয়।
জয়নিউজ/পুষ্পেন/আরসি