জঙ্গল সলিমপুরে যারা প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন রয়েছে তাদেরকে স্থায়ী ঠিকানায় স্ব স্ব উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্প ও গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের মাধ্যমে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
তাছাড়া জঙ্গল সলিমপুরে সন্ত্রাস, ভূমিদস্যুতা ও মাদকের রাজত্ব কায়েম করে রাখা সন্ত্রাসী-আসামীদের গ্রেফতারে অবিলম্বে সাঁড়াশি চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে।
আজ সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) জঙ্গল সলিমপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে উপরোক্ত সিদ্ধান্তগুলো হয়।
সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুরের ৩১০০একর খাস জায়গা উদ্ধারকল্পে এবং সেখানের জীব-বৈচিত্র্য ও পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে এ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, সেগুলো হলোঃ
১) জঙ্গল সলিমপুরে সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য গড়ে তোলা ৩১০০ একর জমি উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা এবং জমি উদ্ধারের পর সেখানে জীব-বৈচিত্র্য ও পরিবেশ-প্রতিবেশ অক্ষুণ্ণ রেখে সরকারের পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নে কয়েকটি টাস্কফোর্স কমিটি গঠিত হয়।
২) গঠিত টাস্কফোর্স কমিটি সমূহ ১ মাসের মধ্যে উচ্ছেদ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন এবং উদ্ধারকৃত সরকারি খাস জমিতে জীব-বৈচিত্র্য রক্ষাপূর্বক পরিবেশ বান্ধব অক্ষুণ্ণ রেখে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করবে।
৩) জঙ্গল সলিমপুরে যারা প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন রয়েছে তাদের কে স্থায়ী ঠিকানায় স্ব স্ব উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্প ও গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের মাধ্যমে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
৪) জঙ্গল সলিমপুরে সন্ত্রাস,ভূমিদস্যুতা ও মাদকের রাজত্ব কায়েম করে রাখা সন্ত্রাসী-আসামীদের গ্রেফতারে অবিলম্বে সাঁড়াশি চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে।
৫। আগামী ১ মাসের মধ্যে মাস্টার প্ল্যান করে তা বাস্তবায়ন করার জন্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বৈঠকে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবগণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানগণ, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
তাছাড়া সভায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ উপস্থিত ছিলেন।
জেএন/পিআর/কেকে