জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর, শুধু রাজধানীতেই নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে দৈনিক অন্তত ১৮২ কোটি টাকা বেশি আদায় হচ্ছে। প্রতিবাদ করলে হেনস্তা ও অপমানের শিকার হচ্ছের যাত্রীরা।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এমন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতি।
গত ২০ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন গণপরিবহণের জরিপের ভিত্তিতে এ রিপোর্ট তৈরি করেছে তারা।
যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী অভিযোগ করেন, কোন কোন রুটে মাথাপিছু সর্বোচ্চ ১৭ টাকা পর্যন্ত বাড়তি ভাড়া দিতে হচ্ছে যাত্রীদের। কিন্তু এটি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে বিআরটিএ। জনগণের টাকায় পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটি মালিকপক্ষের স্বার্থ দেখছে।
তিনি দাবি করেন, গত এক বছরে দুবার জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর অস্বাভাবিক হারে বাড়ানো হয় গণপরিবহণ ভাড়া। এতে অস্থির হয়ে ওঠে গণপরিবহণ খাত। বর্তমানে নগরীর কোনো পরিবহণে সরকারের নির্ধারিত ভাড়া কার্যকর নেই। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য চলছে।
মোজাম্মেল হক বলেন, রাজধানীর পাঁচ হাজার বাস-মিনিবাসে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫০ লাখ ট্রিপ যাত্রীর যাতায়াত হয়। লক্কড়-ঝক্কড় এসব সিটি সার্ভিসের শতভাগ বাসে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এতে ৫০ লাখ ট্রিপ যাত্রী দৈনিক গড়ে সাড়ে আট কোটি টাকা বাড়তি ভাড়া পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছে।
জেএন/কেকে