খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চালের বস্তায় ধানের জাত লেখা বাধ্যতামূলক এবং চালের কতটুকু ছাঁটাই করা যাবে তা নির্ধারণ করে আইন হচ্ছে।
তিনি বলেন, মিলে চাল ইচ্ছামতো ছাঁটাই করা যাবে না। ধানের যেটুকু ছাঁটাই করা যাবে, তার একটা রেশিও (অনুপাত) আমরা ঠিক করেছি।
বেশি পোলিশের (ছাঁটাই) ফলে চালের একটা অংশ নষ্ট হয়। যেটা সারা দেশের মোট উৎপাদনের একটি বড় অংশ। এ কারণেও এটা আমরা নির্ধারণ করেছি।
খুব শিগিগরই এ ব্যাপারে আইন হচ্ছে। এটা (আইন) পাশ হলে অনেকেই সোজা হয়ে যাবে। আইনটির খসড়া মন্ত্রিসভার সম্মতির পর বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ে আছে বলেও জানান খাদ্যমন্ত্রী।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বিএসআরএফ সংলাপে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ সংলাপের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাস। সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, মিনিকেট বলে কিছু নেই। মিনিকেটের উৎপত্তি জানলে আর এই নাম দিতো না। একসময় ভারত থেকে চিকন চালের বীজ আনতাম মিনি (ছোট) প্যাকেটে করে। এই হলো মিনিপ্যাক। এই বীজ থেকে আমরা নাম দিয়েছি মিনিকেট চাল।
এটা বহুবার বলা হয়েছে। ভোক্তা অধিকার এই মিনিকেট নাম উচ্ছেদ করতে অভিযান চালাতে পারে। আমাদের সে ক্ষমতা নেই।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ইচ্ছামতো চাল ছাঁটাই করা না হলে তখন আমরা আগের সেই চাল খেতে পারব। তাহলে প্যাকেট চালও বন্ধ হয়ে যাবে। এত ফাইন রাইস খাওয়ার অবস্থা থাকবে না।
তিনি বলেন, যে আইন হচ্ছে, সেখানে বলা আছে ব্র্যান্ড নাম তারা (ব্যবসায়ীরা) যেটাই দিক, রজনীগন্ধা দিতে পারে, গোলাপফুল, জরিনা, সখিনা—নাম যা-ই দিক, কিন্তু ধানের জাতের নাম দিতে হবে।
জেএন/পিআর