একটি মোটরবাইক এর দাম যদি মিলিয়ন ডলারে হয়, তাহলে চমকে যাওয়ারই কথা। এই সুপার বাইকগুলো অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন কারণে ভীষণ দামি। বিশ্বের দামি ৫টি বাইকের কথা রইল আপনাদের জন্য।
৫. হারলে ডেভিডসন কসমিক স্টারশিপ : অনেক পরিচিত ও বিখ্যাত এই মোটরসাইকেলের দাম ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ১৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা! এই বাইকটির ওপর এক স্তরের পেইন্ট করা আছে বলে এটি কারও কাছে একটি শিল্পকর্ম হিসেবেও বিবেচিত হয়ে থাকে। হারলে ডেভিডসন নির্দেশিত সার্ভিসিংয়ে থাকলে এই বাইকের ইঞ্জিন ১ লাখ কিলোমিটার কোনো সমস্যা না করেই চলবে।
৪. বিএমএস নেহেমেসিস : এর দাম ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ২৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা! এটি এয়ার-রাইড সিস্টেমের মোটরবাইক, যা একমুখী সুইংআর্ম রিয়ার সাসপেনশনসহ মোটরসাইকেলটিকে ১০ ইঞ্চি তুলতে ও নামাতে পারে। এর কোনো সাইড স্ট্যান্ড নেই। এ বাইকটিকে তার ফ্রেমের রেলের ওপর পার্ক করে রাখা হয়। এই বাইকটি ২৪ ক্যারেট সোনা দিয়ে তৈরি।
৩.ইকোস ইএস১ স্পিরিট : এর দাম ৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ৩৪ কোটি ২২ লাখ টাকা! এই সুপার বাইকটি চার ইঞ্জিনবিশিষ্ট এবং প্রতি ঘণ্টায় ২৪০ মাইল গতির ইকোস ইএস১ স্পিরিট বাইকটির ওজন মাত্র ১২০ কেজি। আমেরিকার বাসিন্দা ডন অ্যাচিসন এবং দুই ব্রিটিশ অধিবাসী রিচার্ড গ্লোভার ও অ্যান্ডি লে ফ্লেমিং মিলে এই সুপার বাইক তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন।
২. ১৯৪৯ ই৯০ এজেএস পোর্কুপাইন : এর দাম ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৬৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা! এজেএস ১৯৪৯ সালে মাত্র ৪টি পোর্কুপাইন মোটরসাইকেল তৈরি করেছিল। ৫০০ সিসির এই বাইক অ্যালুমিনিয়াম অ্যালয়ে তৈরি। হেডসহ ডিওএইচসি টুইন ইঞ্জিনের এই বাইকের সিলিন্ডার অনুভূমিক।
১. নেইমান মার্কাস লিমিটেড সংস্করণ ফাইটার : এর দাম ১১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ১৪৫ কোটি টাকা! এখন পর্যন্ত মাত্র ৪৫টি নেইমান মার্কাস লিমিটেড সংস্করণ ফাইটার বাইক বাজারে ছাড়া হয়েছে।
এই বাইক একটি সিঙ্গেল মেটাল পিস দিয়ে তৈরি। এর গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ১৯০ মাইল। এর ৪৫ ডিগ্রি এয়ারকুলড ভি-টুইন ইঞ্জিন টাইটান ও অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি এবং এর যন্ত্রাংশে কার্বন ফাইবার ব্যবহার করে হয়েছে। তথ্য: ফাইন্যান্স অনলাইন ডট কম
জেএন/পিআর