চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম রাউন্ড দারুণ জয়ে শুরু করলেও দ্বিতীয় রাউন্ডে খেই হারিয়ে ফেলে রিয়াল মাদ্রিদ। ঘরের মাঠে জার্মান ক্লাব আরবি লাইপজিগকে হারাতে কম কষ্ট হয়নি লস ব্লাঙ্কোসদের।
বেনজেমাবিহীন দলটিকে শেষ পর্যন্ত জয়ের মুখ দেখান ভালভার্দে-আসেনসিও।
এই ম্যাচ জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১০০তম জয়ের রেকর্ড গড়েন রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি।
১০২ জয় নিয়ে তার উপরে আছেন কেবল স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন। অর্থাৎ আর তিন ম্যাচ জয় পেলেই তিনি হবেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসের সর্বোচ্চ বিজয়ী ম্যানেজার।
বুধবার রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে জার্মান ক্লাব লাইপজিগকে ২-০ ব্যবধানে হারায় রিয়াল। প্রথম গোলটি আসে ফেডে ভালভার্দের পা থেকে। বাকি গোলটি করেন মার্কো আসেনসিও।
ম্যাচের শুরু থেকে রিয়াল মাদ্রিদ বল দখলে এগিয়ে থাকলেও আরবি লাইপজিগ চাপে রাখে দলটিকে। একের পর এক আক্রমণে স্প্যানিশ জায়ান্টদের রক্ষণের পরীক্ষা নেয় ক্লাবটি। পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত তারা। এনকুকুর দুর্দান্ত শট ঝাপিয়ে ঠেকান থিবো কোর্তোয়া। ২৮তম মিনিটে আবারও সুযোগ পায় লাইপজিগ। টিমো ওয়ার্নারের ক্রস থেকে শট নেন এনকুকু। সেটিও দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন কোর্তোয়া।
বিরতির পর বরাবরের মতোই জেগে ওঠে রিয়াল। ৭২তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত দলটি। বক্সে ফেডে ভালভার্দের দেওয়া বল পেয়ে ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি ভিনিসিউস। আট মিনিট পর কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় লস ব্লাঙ্কোসরা। দারুণ দক্ষতায় প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সের বাইরে ভালভার্দেকে পাস দেন ভিনিসিউস। বল পেয়ে কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করতে ভুলেননি তরুণ এই মিডফিল্ডার।
অতিরিক্ত সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বদলি হয়ে নামা মার্কো আসেনসিও। টনি ক্রুস থেকে পাওয়া ছোট পাস থেকে দুর্দান্ত শটে লাইপজিগের জাল খুঁজে নেন স্প্যানিশ এই ফরোয়ার্ড। প্রথমার্ধে ধুকতে থাকা রিয়াল শেষ পর্যন্ত ২-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে।
জেএন/কেকে