করোনা মহামারি সমাপ্তির পথে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

করোনাভাইরাসে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস। একইসঙ্গে করোনা মহামারি সমাপ্তির পথে রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

- Advertisement -

এছাড়া বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৬০ লাখেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে উল্লেখ করে সংক্রামক এই রোগের বিরুদ্ধে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে দেশগুলোর প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই প্রধান। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

- Advertisement -google news follower

বুধবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস সাংবাদিকদের বলেন, ‘করোনা মহামারি শেষ করার জন্য আমরা কখনোই ভালো অবস্থানে ছিলাম না। আমরা এখনও সেখানে নেই, কিন্তু (করোনা মহামারির) শেষ দেখা যাচ্ছে।’

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের প্রথম তিন মাসের মধ্যেই এই ভাইরাস বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে এবং এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে সংক্রামক এই ভাইরাসে ৬০ কোটিরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৫ লাখেরও বেশি মানুষ।

- Advertisement -islamibank

তবে বুধবার ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক বলেন, করোনাভাইরাসে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে এবং ২০২০ সালের মার্চের পর থেকে গত সপ্তাহে সংক্রমণ সর্বনিম্ন স্তরে নেমে গেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘যদি আমরা এখন এই সুযোগটি গ্রহণ না করি, তাহলে আমরা ভাইরাসের আরও ভ্যারিয়েন্ট, আরও মৃত্যু, আরও বিধিনিষেধ এবং আরও অনিশ্চয়তার ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবো।’

এই পরিস্থিতিতে দেশগুলোকে ভাইরাসের লাগাম টেনে ধরতে যা করতে হবে তা করতে সাহায্য করার জন্য ছয়টি সংক্ষিপ্ত নীতি প্রকাশ করেছে ডব্লিউএইচও। টেড্রোস বলেন, ‘এসব নীতি সরকারগুলোর জন্য তাদের কৌশল আরও কঠোর করার এবং করোনা মহামারির সম্ভাবনাসহ ভবিষ্যতের রোগজীবাণুগুলো প্রতিরোধের জন্য তাদের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য একটি জরুরি আহ্বান।’

একইসঙ্গে উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলোতে ১০০ শতাংশ টিকা দেওয়ার এবং ভাইরাস শনাক্তের জন্য পরীক্ষা চালিয়ে যেতেও দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক বলেন, করোনা প্রতিরোধী ভ্যাকসিন এবং থেরাপি এই রোগের তীব্রতা রোধ করতে সাহায্য করেছে। আর তাই ভাইরাসের সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ ঢেউ সম্পর্কে সতর্ক করার পাশাপাশি দেশগুলোকে চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ এবং পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা কর্মী হাতে রাখতে হবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

জেএন/কেকে

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM