বাগেরহাটের শরণখোলায় ৫ দিনের টানা বর্ষণ শেষে এবার পানি নামতে শুরু করেছে ক্ষেত খামারের। আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় এবং স্লুইসগেট গুলো খুলে দেওয়ায় ক্ষেত-খামার সহ মানুষের বাড়ি ঘরের পানি নামতে শুরু করেছে।
তবে টানা বর্ষনে জলাবদ্ধতায় আমন ক্ষতের উল্লেখযোগ্য ক্ষয়-ক্ষতি না হলেও ২৫ হেক্টর জমির সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। বর্ষা শেষে রোদ ওঠায় শিকড় পঁচে যাওয়া সবজির ক্ষেত লালচে হতে শুরু করেছে।
শরণখোলায় প্রায় ৫ হাজার হেক্টর আমনের ক্ষেত এখনও পানিতে তলিয়ে আছে। দ্রুত পানি অপসারণ না করলে সদ্য রোপিত আমনের বীজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করেছেন চাষিরা।
উপজেলার বকুল তলা গ্রামের সবজি চাষী বাবুল হোসেন জানান, তার দুই বিঘা জমির সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। তার ক্ষেতে নালিম, কুশি, ভেন্ডি, বেগুন, বরবটি, মিষ্টি কুমড়া, তুরইল জাতীয় সবজি ছিলো। অনেক ধার-দেনা করে অর্থ সংগ্রহ করে বীজ, সার ওষধ কিনে ক্ষেত করে এখন চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এভাবে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের দুই শতাধিক সবজি চাষী অতিবর্ষণের শিকার হয়েছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার জানান, তারা উপজেলার সর্বত্র ঘুরে ঘুরে কৃষির ক্ষয়- ক্ষতির পরিমান নিরুপন করছেন। ভারী বর্ষণে উপজেলার খোন্তাকাটা, ধানসাগর, রায়েন্দা ও সাউথখালী ইউনিয়নের প্রায় ২৫ হেক্টর জমির মৌসুমি সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়েছে।
নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমির আমনের ক্ষেত জলমগ্ন রয়েছে। তবে বেড়িবাঁধের জলকপাট গুলো খুলে দেওয়ায় দ্রুত পানি নিষ্কাশন হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ চাষিদের প্রতি তাদের সহায়তার দৃষ্টি থাকবে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা।
জেএন/পিআর