বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের ছোঁড়া মর্টারশেলের আঘাতে ইকবাল হোসেন(২৮) নামে এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও সাতজন আহত হয়েছে। ইকবাল শূন্যরেখা রোহিঙ্গা শিবিরের মতলব হেসেনের ছেলে।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তুমব্রুর নো ম্যানস ল্যান্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে । নিহত ইকবাল ও আহতরা তুমব্রু সীমান্তের নো ম্যানস ল্যান্ডের বাসিন্দা।
রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাত ৮টার দিকে হঠাৎ মর্টালশেল আঘাত হানে। এতে পর পর তিনটি বিস্ফোরণ হয়। এই ঘটনায় ইকবালসহ ৬ জন আহত হয়। পরে উখিয়ার কুতুপালং হাসপাতালে নিলে ইকবারের মৃত্যু হয়। বাকিদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
তুমব্রু সীমান্তের বাসিন্দা মো. কামাল বলেন, ‘রাতে মিয়ানমার থেকে গোলা এসে শূন্যরেখা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পড়ে। এ ঘটনায় সীমান্তের রোহিঙ্গা ও স্থানীয়রা আতঙ্কে আছেন।’
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা ফেরদৌস এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসাইন সজীব বলেন, ‘তুমব্রু সীমান্তে মর্টারশেলের আঘাতে ৮ রোহিঙ্গাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উখিয়া হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার মধ্য এক রোহিঙ্গা যুবক মারা গেছেন। বাকিদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
এর আগে শুক্রবার দুপুরে সীমান্তের এলাকায় মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে অন্নথাই চাকমা নামে এক বাংলাদেশি এক যুবক আহত হন, তার পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আহত অন্নথাই চাকমা ঘুমধুম ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তুমব্রু হেডম্যান পাড়ার বাসিন্দা।
উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের বাংলাদেশ অভ্যন্তরে মিয়ানমার থেকে ছোড়া একটি বুলেট এসে পড়ে। ৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকায় পড়ে। তার আগে ২৮ আগস্ট বিকাল ৩টার দিকে মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপ করা একটি মর্টারশেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় ঘুমধুমের তুমব্রু উত্তর মসজিদের কাছে পড়ে।
জেএন/কেকে